দেশে লেপটোব্র্যাকিয়াম সিলেটিকাম নামের নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী হাসান আল রাজী চয়ন ও মারজান মারিয়া।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোয়ারচেস্টেস রেজাখানি নামেও একটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেন তাঁরা।
জানা যায়, গতবছর জুনে সিলেটের মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গবেষণার কাজের জন্য যান চয়ন ও মারিয়া। সেখানে তাঁরা এ ব্যাঙটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারেন যে, এটি পরিচিত ব্যাঙ থেকে কিছুটা আলাদা প্রকৃতির। তারপর এটি নিয়ে তাঁরা বিস্তর গবেষণা করেন। ব্যাঙের এই প্রজাতিটি গোটা বিশ্বে একেবারেই নতুন বলে মনে করছেন তাঁরা।
নতুন প্রজাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দুই গবেষণা চয়ন ও মারিয়া এ ব্যাঙের শারীরিক পরিমাপ, এদের মলিকুলার বিশ্লেষণের পাশাপাশি ডাকের বিশ্লেষণও করেন। তাঁরা দেখতে পান, প্রজাতিটি ব্যাঙয়ের অন্য প্রজাতিগুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন। এরপর তারা তাদের গবেষণাপত্রটি জার্নাল অব ন্যাচারাল হিস্টোরির জার্নালে পাঠালে সেখান থেকে এটি প্রকাশিত হয় এবং তাদের এ আবিষ্কার বিশ্বের কাছে স্বীকৃতি লাভ করে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
ব্যাঙের নতুন এ প্রজাতি আবিষ্কার কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় ছিলেন লোমোনোসোভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির রাশিয়ান প্রফেসর নিক পয়ারকভ। তারা ব্যাঙটির নামকরণ করেছেন প্রাপ্তিস্থান সিলেটের নাম অনুযায়ী লেপটোব্র্যাকিয়াম সিলেটিকাম (Leptobrachium sylheticum)
এ ব্যাপারে হাসান আল রাজী চয়ন বলেন, নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙটি আমাদের দ্বিতীয় আবিষ্কার। নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করাটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক। ব্যাঙ নিয়ে আমাদের আরো একটি গবেষণা চলছে। খুব দ্রুতই সেটি ঘোষণা করা হবে।’
মারজান মারিয়া বলেন, ‘নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙ আবিষ্কার করে আমরা অনেক খুশি। ব্যাঙের নতুন এই প্রজাতিটি আবিষ্কার আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। নতুন কিছু আবিষ্কার করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে এমন আরো কাজ করতে চাই।’