Sunday, 23 November, 2025

ক্ষুরা রোগে ১৬টি গরুর মৃত্যু!


সাতক্ষীরায় ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ১৬টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে। রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিয়েও কাজে হয়নি বলে অভিযোগ খামারীদের।

জেলা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ঘোষপাড়ার খামারি নিরঞ্জন ঘোষ জানান, তার খামারে উন্নত জাতের গাভী বাছুরসহ ১৫টি গরু ছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খামারে ক্ষুরা রোগের সংক্রমণ হয়। এতে ‍কে একে এ পর্যন্ত পাঁচটি গরু মারা গেছে।

একই এলাকার বাবু রাম বিশ্বাসের পাঁচটি গরুর মধ্যে একটি, নিতাই ঘোষের সাতটি গরুর মধ্যে দুটি, গৌর ঘোষের আটটি গরুর মধ্যে দুটি ও ফারুক মোল্লার ৮০টি গরুর মধ্যে ছয়টি গরু মারা গেছে। এছাড়া রাম বিশ্বাসের চারটি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

আরো পড়ুন
নবান্ন উৎসব ঘিরে বগুড়ার বাজারে নতুন আলু, দাম চড়া ৫০০ টাকা কেজি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বগুড়ার বাজারগুলোতে উঠেছে নতুন আলু। উৎসবের আমেজে এই আলুর চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে Read more

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: সময়সূচি প্রকাশ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ: ২০২৬ সালের Read more

খামারিরা জানান, মারা যাওয়া উন্নত জাতের প্রতিটি গাভীর মূল্য দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিয়েও কোনো কাজে আসেনি। অনেক খামারি শুরুতেই শেষ হয়ে গেল।

তাদের অভিযোগ, সরকারি ভ্যাকসিন সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করার কারণে ভ্যাকসিন সঠিকভাবে কাজ করেনি।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে, ভ্যাকসিন দেয়ার সময় নিয়ে খামারিদের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। তারা মনে করে একবার ভ্যাকসিন দিলে হয়ে যায়। ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন একবার দিলে ছয় মাস কাজ করে। এই ভ্যাকসিন ছয়মাসের মধ্যে আবার দিতে হয়। তাহলে বুস্ট ডোজ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ছয় মাস পার হয়ে গেলে এর কার্যকারিতা কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দফতরে জানালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেই। কিন্তু কেউ কিছু জানায়নি।

0 comments on “ক্ষুরা রোগে ১৬টি গরুর মৃত্যু!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ