দিনাজপুর জেলায় গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মিলে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৩টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এবার জেলায় প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৮টি কোরবানির পশু প্রয়োজন হবে বলে জানায় জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৫৪ হাজার ৫১৫টি পশু।
দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, জেলার ৫৮ হাজার ৫৫ জন খামারি উৎপাদন করেছেন গরু ও মহিষ ১ লাখ ২৪ হাজার ২১৬টি এবং ছাগল-ভেড়া ৭৪ হাজার ৫৬৭টি। দিনাজপুরে আসন্ন কোরবানির ঈদে প্রয়োজন গরু-মহিষ ৯১ হাজার ১২৭টি এবং ছাগল-ভেড়া ৫৩ হাজার ১৪১টি।
শুধু কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ছোট-বড় খামার ও বাড়ীতে গরু মোটাতাজাকরন করেছে প্রায় ৬৫হাজার পশু। ক্রেতা বিক্রেতাদের সচেতনতার জন্য ইতিমধ্যেই প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া ও মনিটরিং করা হচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আশিকা আকবর তৃষা বলেন, এবার জেলার ১৩টি উপজেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর উৎপাদন হয়েছে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি।
করোনার সংক্রমনের কারণে গত বছর থেকে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালনায় চালু হয়েছে দিনাজপুর অনলাইন পশুর হাট। এই হাট থেকে গতবার ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। এবারও এই অনলাইন হাট থেকে আরও বেশি গবাদিপশু বিক্রি হতে পারে বলে তিনি আশা করেন।