আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমেও দিনাজপুরে বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ধান কাটা-মাড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার দিনাজপুর জেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ২৫ হাজার ১০৬ হেক্টর জমিতে আর উফশী ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উফশী ধানের ক্ষেত্রে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৬৮ মেট্রিক টন। আর হাইব্রিডের ক্ষেত্রে ১ লাখ ৮১ হাজার ১০০ শত মেট্রিক টন।
এবছর অসময়ে ঝড় ও বৃষ্টিপাতে ধানের দাম কিছুটা কম হলেও বর্তমানে প্রচণ্ড তাপদাহে ধানের বাজার দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কৃষকরা ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি। অসময়ে ঝড় ও বৃষ্টিতে কিছুটা ফলন কম হলেও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। তবে এবারেও ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
জেলায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে। উফশী জাতের মধ্যে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৫৮, মিনিকেট, সম্পা কাঠারী, বগুড়া সম্পা, জামাই কাঠারী, সোনামুখী, নানিয়া, কোটরা পারী ও বিয়ার-১৬। হাইব্রিড ধানের মধ্যে তেজ গোল্ড, হীরা-২, ব্রাক (রূপালী) ও SL8H।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা ধান বস্তা প্রতি ১৭০০ থেকে ১৯০০ টাকার মধ্যে বিক্রয় হচ্ছে। অথচ কিছু দিন আগেও মোটা ধান বস্তা প্রতি ১৩০০ থেকে ১৪৫০ পর্যন্ত দাম কৃষকরা পেয়েছে।
সদরের শেখপুরা ইউনিয়নে কিষান বাজারে ধান বিক্রয় করতে আসা কৃষক মো. রফিকুল বলেন, অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কিছুটা ফলন কম হলেও বাজারে ধানের দাম আশানুরুপ পাওয়া যাচ্ছে। গত রবিবার
হাটে মন প্রতি ৯০০ টাকা দরে ধান বিক্রয় করেছি।
আরেক কৃষক সনাতন জানান, ফলন ভাল হয়েছে। আগে ভিজা ধান বিক্রয় করেছি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। বর্তমানে তাপদাহে শুকনা ধান বিক্রয় করেছি বস্তা প্রতি ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা দরে। এতে গড়ে ভালই দাম পেয়েছি।
এই ব্যাপারে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, এবার উৎপাদন ভাল হয়েছে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, আবহাওয়া ভাল থাকলে বাকি ১২% ধান দ্রুত কৃষকরা কর্তন করবে।