‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষক ফেডারেশন কর্তৃক পুনরায় প্রস্তাবিত তথাকথিত অভিন্ন নীতিমালাটি বর্তমানে ‘নির্দেশিকা’ নাম দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। এই অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য, অসঙ্গতিপূর্ণ, বৈষম্যমূলক, স্বায়ত্তশাসন পরিপন্থী অভিন্ন নির্দেশিকা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি। এই নির্দেশিকা কখনই বাকৃবিতে বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।’
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ, পদন্নোতি ও পদোন্নয়নের নির্দেশিকা প্রণয়নের নামে যে অভিন্ন নীতিমালাটি ইউজিসির ভার্চুয়াল সভায় পাশ করা হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসন বিরোধী। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার স্বতন্ত্রতার উপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা হোক এটা বাকৃবি শিক্ষক সমিতি কখনই চায় না। প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের নিজস্ব নীতিমালায় পরিবর্তন এনে উন্নত শিক্ষার মান নিশ্চিত করব।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলনে সহ সভপতি অধ্যাপক ড. মো. আসলাম আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক সহ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন অনুষদের অর্ধশতাধিক শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, ভবিষ্যতে এ নীতিমালাতেও পরিবর্তন বা আবার নতুন কোনো নীতিমালা প্রবর্তন করা হয় তবে তা প্রত্যাখান করা হবে। আর যদি এ নীতিমালাই চূড়ান্ত করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।