বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্বশরীরে পরীক্ষার নেয়ার দাবিতে উপাচার্য, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন বরাবার স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত অনুষদীয় ছাত্র সমিতির ব্যানারে ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জানা যায়, স্মারকলিপিতে স্বশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ সহ ৬ টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলোতে বলা হয়-
১. সকল অনুষদের সর্বোচ্চ লেভেলের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়ে যতদ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাসে এনে স্বশরীরে ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১ জুলাই থেকে সকাল-বিকাল করে লেভেল ৪ ও লেভেল ৩ এর প্রথম সেমিস্টারের থিওরি ফাইনাল পরীক্ষা আরম্ভ করা যেতে পারে এবং পর্যায়ক্রমে ২৫ জুলাই থেকে লেভেল-২ ও লেভেল-১ এর থিওরি ফাইনাল পরীক্ষা আরম্ভ করা যেতে পারে।
২. লেভেল-৪ এর সেমিস্টার-১ এবং সেমিস্টার-২ এর পরীক্ষা অতিদ্রুত সমাপ্তের মাধ্যমে তাদেরকে বাকৃবির অক্টোবর-মার্চ মাস্টার্স সেমিস্টারে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে এবং যে সকল অনুষদের অতিরিক্ত ইন্টার্নি সেমিস্টার আছে, তাদের দ্রুত ইন্টার্নি সমাপ্তের পর এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সেমিস্টারে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে।
৩. অনলাইন পরীক্ষার বিভিন্ন বিরূপ সমস্যা বিবেচনায় এবং দীর্ঘ সময়সাধ্য ক্লাসটেস্ট পরীক্ষার সময়সূচি এড়াতে সকল ক্লাসটেস্টসমূহ এসাইনমেন্ট বা প্রেজেন্টেশন আকারে নেওয়া যেতে পারে।
৪. দীর্ঘ সেশনজট নিরসনের উদ্দেশ্যে সকল লেভেলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়নের মাধ্যমে এবং পরবর্তী সময়ের সকল সেমিস্টারের সময়কাল ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাসে কমিয়ে আনা যেতে পারে।
৫. যৌক্তিক কারণে কোনো শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত না হতে পারলে সেই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি গণনা করা যেতে পারে।
৬. অতিদ্রুত লেভেল-৪ থেকে লেভেল-১ এর আটকে থাকা সকল স্টাইপেন্ডের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা যেতে পারে।
করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান দেখা করার সম্মতি না দেওয়ায় সরাসরি স্মারকলিপি প্রদান করা সম্ভব হয়নি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ হোসেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।