প্রাণীকূলের মধ্যে মানুষের সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়ার সবচেয়ে বেশি মিল, যা শতকরা ৩৭ শতাংশ। যেখানে বানরের সঙ্গে মিল মাত্র ৬ শতাংশ। ফলে বন্ধুপ্রিয় মিলের সাদৃশ্যকে কেন্দ্র করে অঞ্চলভিত্তিক এই গবেষণার কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে। উপকারি ব্যাক্টেরিয়া ব্যবহার করে বেগুনের ঢলে পড়া রোগ দমন করা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কৃষিতে উপকারি নভেল বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার ব্যবহার প্রয়োগের ফলাফল নিয়ে এক জাতীয় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন প্রধান গবেষক ড. তোফাজ্জল হোসেন রনি।
এসময় ব্যাক্টেরিয়ার জীবন ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, কালচার, নামকরণ এবং কৃষিতে উপকারি বেসিলাসের ব্যবহার প্রয়োগ এবং ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করা হয়।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে ভার্চুয়্যালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কারিগরি অধিবেশনে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. বাহাদুর মিয়া, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা, পরিকল্পনা ও মূল্যায়নের পরিচালক ড. কামরুল হাসান, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মতিয়ার রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমা খানম প্রমুখ।
সেমিনারের সেশন চেয়ারম্যান ড. সামসুল আলম বলেন, কৃষিতে উপকারি বেসিলাসের ব্যবহার পরিবেশবান্ধব, যা একটি ভাল উদ্যোগ। উন্নত দেশের মতো আমরা এখন তা শুরু করেছি। মূলত ব্যাক্টেরিয়াগুলো শক্তিশালি পেপ্টাইডোগ্লাইকোনের মাধ্যমে প্রতিকূল অবস্থায় গাছকে খাদ্যরস গ্রহণে সহয়তা ও শক্তিশালি করে। এছাড়া এটি এন্টাগনাস্টিক হিসেবে কাজ করে, যার ফলে জীবাণুরা অবস্থান করতে পারে না। ফলে গাছ আর ঢলে পড়ে না।
মহাপরিচালক ড. মো.নাজিরুল ইসলাম বলেন, নভেল বেসিলাসের প্রয়োগ একটি নতুন বিষয়, যার ওপর ইতোমধ্যেই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অনেকটা পথ এগিয়েছে। আরো জোড়ালো গবেষণার মাধ্যমে নয়া এই পরিবেশবান্ধব উপকারি ব্যাক্টেরিয়ার ওপর জোর দিতে হবে। সারা দেশে এই প্রযুক্তি কৃষকের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দিতে হবে।
উপসচিব নাসিমা খানম গবেষণাটি খরা, বন্যা এলাকাতেও ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।