বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সেচের মাধ্যমে কৃষি ও মাছের উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১ হাজার ২০ কোটি টাকা (১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। পাঁচ বছর গ্রেস দিয়ে ৩৫ বছরে এই ঋণ শোধ করতে হবে।
বুধবার (১০ মার্চ) আন্তর্জাতিক এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ব ব্যাংকের সদর দফতর এ ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
জানা যায়, ক্লাইমেট-স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণ সহযোগিতা ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমির সেচ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্যায় ফসলের যে ক্ষতি হতো, তার ৬০ শতাংশ কমবে।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির শিকার ১ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মানুষের আয় বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে এই প্রকল্প। এই উপকারভোগীর অর্ধেকই হবেন নারী। এই প্রকল্প মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে প্রায় ৪০ শতাংশ এবং ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করবে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ জীবনধারণের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদেরকে দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়। এই প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহিষ্ণু পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। এছাড়া জীবনযাপন ও স্থানীয় অধিবাসীদের জলবায়ু সহনশীল করে তুলবে।’
বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট এবং এই প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার আবেল লুফাফা বলেন, ‘খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্ষা মৌসুমে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্ষা পরবর্তী শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এই প্রকল্প।’