সরকার ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে ধরতে পাকিস্তানের আরও কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। এ ছাড়া, শিক্ষা, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে রয়েছে। দারিদ্র্যমোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের এ সাফল্য সারা পৃথিবীতেই প্রশংসিত হচ্ছে।
শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেট’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দরিদ্র, গরিব ও দুঃস্থ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনতে ৬৫টিরও বেশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। ফলে করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্য সংকট হয়নি।
বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। এবারের বাজেটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রদানে নিশ্চিয়তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়। কৃষি আধুনিকীকরণ ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এক্ষেত্রে সরকার নানামুখী ভুর্তকি দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি না পেলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে কোন সমস্যা হবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বিরোধী দল হিসেবে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়।