Friday, 26 September, 2025

করোনাকালে ভালো উৎপাদন হওয়ায় দেশে খাদ্যসংকট হয়নি: কৃষিমন্ত্রী


কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্যের ভালো উৎপাদন হওয়ায় করোনাকালেও দেশে খাদ্যসংকট হয়নি।

রবিবার (২৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে খাদ্যে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ সেটা প্রমাণ হয়েছে। একদিকে গত আউশ আমনে চালের ফলন ভালো হয়নি; অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রয়োজনীয় চাল নানা কারণে আমদানি করা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

এছাড়া সবাই ধারণা করেছিলেন, করোনা মহামারির কারণে অর্থনৈতিক মন্দা ও স্থবিরতায় বাংলাদেশে চরম খাদ্যসংকট দেখা দেবে। হয়তো দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কিন্তু নিজস্ব উৎপাদন ভালো হওয়াতেই বাংলাদেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হয়নি, সংকট হয়নি।’

চালের দাম কিছুটা বেশি থাকায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত আউশ আমনে বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেশি ছিল। স্বল্প আয়ের, সাধারণ মানুষের কিছুটা কষ্ট হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারি সত্ত্বেও দেশে এমনটা হয় নাই যে, দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে, বাজারে গিয়ে চাল পাওয়া যায়নি। দেশে চালের উৎপাদন ভালো হওয়াতেই খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়নি।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বছর আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলাম চালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে। ফলে, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। বর্ধিত এরিয়া ও হাইব্রিডের চাষ দু’টি মিলে আমরা আশা করছি গত বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১২ লাখ টন চাল উৎপাদন বেশি হবে। মাঠ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি তাতেও দেখছি চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছে, তারা খুশি। ধানের দামও ভালো। আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৯৬ লাখ টন।

বন্যা না হলে এবার আউশেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এছাড়া আগামী আমনে উৎপাদন বৃদ্ধিতেও পূর্বপ্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৫৯ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪৯ শতাংশ।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

0 comments on “করোনাকালে ভালো উৎপাদন হওয়ায় দেশে খাদ্যসংকট হয়নি: কৃষিমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ