উত্তরের জেলা রংপুর। এই জেলার সমগ্র মাঠ এখন হলুদ রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। গ্রামীণ জনপদের মাঠ প্রকৃতির অপরূপ রূপে সেজেছে। হলুদ শর্ষে খেতের হাতছানি এখন সমগ্র জেলা জুড়ে। হলুদের বিস্তর খেত সকালের মিষ্টি সোনা রোদে আরও চকচক করছে।
আবহাওয়া অনুকূলে ছিল তাই ভাল ফলনের আশা করছেন চাষিরা
আমন ধান উঠেছে কিছুদিন আগে।
এখন হলদে খেত গুলোতে মৌমাছির রাজত্ব শুরু হয়েছে।
মৌমাছিরা উড়ে উড়ে এক ফুল থেকে রেণু সংগ্রহ করে আরেক ফুলে গিয়ে বসছে।
রংপুরে মৌসুমি গত বছরের মতো এবারও শর্ষের ভালো ফলন হয়েছে।
চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল।
তাই কৃষকেরা দারুণ খুশি হয়েছেন এবার।
তাঁরা এখন খেত পরিচর্চায় রাতদিন পরিশ্রম করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৭৩৭০ হেক্টর জমিতে শর্ষে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু তার বদলে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে।
গত বছর আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে।
শর্ষে চাষিরা জানান, এ বছর অনেক ভাল ছিল।
তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ ছিল না এ বছর।
সে কারণে শর্ষের ভালো ফলন হয়েছে।
এতে ভালো দাম পাবার আশা করছেন চাষিরা।
সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারের কৃষক তবারক আলী।
তিনি বলেন, এবার কোনো রকম দুর্যোগ ছিল না।
জমিতে কোনো রকম রোগ বালাই হয় নাই।
তিনি মনে করেন যে জমি দেখে তার মনে হচ্ছে যে সরিষার আবাদ এবার ভালো হবে।
সরিষার দামও ভালো হবে বলে মনে উজ্জ্বল আশা পোষণ করছেন এই চাষি।
একই ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের কৃষক জিয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করছেন।
কৃষি অফিস থেকে িএবছর কিছু বীজও পেয়েছেন বলে জানালেন তিনি।
সেই বীজের সাথে সাথে তিনি নিজেও কিছু সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেছেন।
গাছের ফুল দেখে তারও মনে হচ্ছে এবার ফলন ভালো হবে।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।
তিনি বলেন, শর্ষে চাষে কৃষকদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
জেলায় প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে ১৩ হাজার কৃষককে।
সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে।