Saturday, 13 December, 2025

সুন্দরবনের শুঁটকিপল্লির জেলেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঘূর্ণিঝড়ে


ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা গুলোতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাগেরহাটে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা এ বৃষ্টিপাতের কারণে সুন্দরবনের শুঁটকিপল্লির জেলেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিতে সুন্দরবনের আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়ীয়া ও শ্যালারচরসহ বেশ কিছু অঞ্চল পানির নিচে ডুবে গেছে।

জেলে পল্লিগুলো তিন ফুটের বেশি পানির নিচে ডুবে গেছে।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

জেলেদের দাবি অনুসারে,  প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টন মাছ নষ্ট হয়ে গেছে তাদের।

যার ক্ষতির হিসেব করলে দাড়ায় কোটি টাকার বেশি।

দুবলার শুঁটকিপল্লির জেলে জামাল শেখ।

তিনি বলেন, প্রায় ১০ হাজার টন কাঁচা মাছ শুঁটকি করার জন্য চরের বিভিন্ন সাবাড়ে দেয়া হয়েছিল।

সাগরের পানির উচ্চতা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বেড়েছে।

যার কারণে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়েছে মাছ।

একই শুঁটকিপল্লির মহাজন শহিদ মল্লিক।

তিনি বলেন, আবহওয়া খারাপ হবার আগেই সাগর থেকে ধরে আনা হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টন কাঁচা মাছ।

সেগুলা এখন নষ্ট হয়েছে।

জেলে ইউনুস আলী ফকির জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে প্রবল বর্ষণের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের পানি বেড়েছে।

এতে মাঝেরকেল্লাসহ আশপাশের চর ডুবে যায়।

যার ফলে পানিতে সেখানকার কোটি টাকার শুঁটকি মাছ ভিজে নষ্ট হয়েছে।

এ ছাড়া সাগরে ভেসে গেছে বিপুল পরিমাণ মাছ।

দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আলোরকোলে জেলেদের মাছ শুকানোর মাচা ও মাঠ ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে ডুবে যায় ঝড়ে।

এতে জেলেদের শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণে থাকা অনেক মাছ ভেসে গেছে।

পানিতে জেলেদের থাকার এবং রান্না করার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়ায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, জেলেদের বিপুল পরিমাণ শুঁটকি সাগরে ভেসে গেছে।

অনেক মাছ ভিজে যাবার কারণে নষ্ট হয়েছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি জানান যে, সুন্দরবনের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জোয়ারে পানি বেড়ে যায় ঝড়ে। অনেক গুলো স্থানই প্রায় ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়।

0 comments on “সুন্দরবনের শুঁটকিপল্লির জেলেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঘূর্ণিঝড়ে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ