Friday, 26 September, 2025

সুন্দরবনের শুঁটকিপল্লির জেলেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঘূর্ণিঝড়ে


ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা গুলোতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাগেরহাটে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা এ বৃষ্টিপাতের কারণে সুন্দরবনের শুঁটকিপল্লির জেলেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিতে সুন্দরবনের আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়ীয়া ও শ্যালারচরসহ বেশ কিছু অঞ্চল পানির নিচে ডুবে গেছে।

জেলে পল্লিগুলো তিন ফুটের বেশি পানির নিচে ডুবে গেছে।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

জেলেদের দাবি অনুসারে,  প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টন মাছ নষ্ট হয়ে গেছে তাদের।

যার ক্ষতির হিসেব করলে দাড়ায় কোটি টাকার বেশি।

দুবলার শুঁটকিপল্লির জেলে জামাল শেখ।

তিনি বলেন, প্রায় ১০ হাজার টন কাঁচা মাছ শুঁটকি করার জন্য চরের বিভিন্ন সাবাড়ে দেয়া হয়েছিল।

সাগরের পানির উচ্চতা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বেড়েছে।

যার কারণে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়েছে মাছ।

একই শুঁটকিপল্লির মহাজন শহিদ মল্লিক।

তিনি বলেন, আবহওয়া খারাপ হবার আগেই সাগর থেকে ধরে আনা হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টন কাঁচা মাছ।

সেগুলা এখন নষ্ট হয়েছে।

জেলে ইউনুস আলী ফকির জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে প্রবল বর্ষণের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের পানি বেড়েছে।

এতে মাঝেরকেল্লাসহ আশপাশের চর ডুবে যায়।

যার ফলে পানিতে সেখানকার কোটি টাকার শুঁটকি মাছ ভিজে নষ্ট হয়েছে।

এ ছাড়া সাগরে ভেসে গেছে বিপুল পরিমাণ মাছ।

দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আলোরকোলে জেলেদের মাছ শুকানোর মাচা ও মাঠ ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে ডুবে যায় ঝড়ে।

এতে জেলেদের শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণে থাকা অনেক মাছ ভেসে গেছে।

পানিতে জেলেদের থাকার এবং রান্না করার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়ায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, জেলেদের বিপুল পরিমাণ শুঁটকি সাগরে ভেসে গেছে।

অনেক মাছ ভিজে যাবার কারণে নষ্ট হয়েছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি জানান যে, সুন্দরবনের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জোয়ারে পানি বেড়ে যায় ঝড়ে। অনেক গুলো স্থানই প্রায় ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়।

0 comments on “সুন্দরবনের শুঁটকিপল্লির জেলেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঘূর্ণিঝড়ে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ