সয়াবিন তেলের দামে কারসাজি নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সয়াবিন তেলের দামে কারসাজি বিশ্ববাজারে কমেছে ৫২ শতাংশ, দেশে ১৭’।
প্রত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত পৌনে দুই বছরে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৫১ দশমিক ৫২ শতাংশ। জ্বালানি তেলের দাম কমায় জাহাজ ভাড়াসহ পরিবহণ খরচ কমেছে।
আন্তর্জাতিক বাজার, জাহাজ ভাড়া, পরিবহণ ব্যয় ও ডলারের দাম বৃদ্ধি সমন্বয়ের ফলে দেশের বাজারে তেলের দাম কমার কথা ২২ থেকে ২৫ শতাংশ। সেখানে আলোচ্য সময়ে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে মাত্র ১৭ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজার ও ডলারের দাম সমন্বয় করলে প্রতি লিটারে ৫১ টাকা কমার কথা।
এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিপণন পর্যায়ে ভ্যাট পাঁচ শতাংশ তুলে দেওয়া হয়েছে।
এতে প্রতি লিটারে দাম কমার কথা আরও সাত থেকে আট টাকা। এর প্রভাবও পড়েনি।
এ হিসাবে বর্তমানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ১৫০ টাকারও কম। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা লিটার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে অর্ধেকের বেশি। এ হিসাবে আমদানি খরচ কমেছে অর্ধেক। জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে জাহাজ ভাড়া গড়ে কমেছে।
একই সঙ্গে অন্যান্য খাতে তেল পরিবহণ খরচও কমেছে। কনটেইনার সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় এ খাতেও খরচ কমেছে। ফলে সয়াবিন আমদানির খরচও কমেছে ডলারের হিসাবে। কিন্তু তেলের বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।
তবে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় এর আমদানি খরচ বেড়েছে।
তথ্যঃ বিবিসি বাংলা