Wednesday, 14 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

শরণখোলায় চাষিদের মুখে হাসি নেই


বাগেরহাটের শরণখোলায় নতুন ধানের মম গন্ধে ভরে উঠেছে বাড়ির আঙিনা, মাঠঘাট, পথ-প্রান্তর। চাষি ও কৃষি শ্রমিকরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার নতুর ফসল ঘরে তোলার আনন্দের পাশাপাশি হতাশাও দেখা দিয়েছে চাষিদের মুখে।

এর কারণ হচ্ছে, মৌসুমের শুরু থেকে কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পোকার আক্রমণে বেশ ক্ষতি হয়েছে আমনের। যে পরিমাণ ফসলের আশা নিয়ে চাষাবাদ করা হয় তা পূরণ হবে না তাদের। অতি বৃষ্টি এবং কারেন্ট ও লেদা পোকার আক্রমণে এবছর উৎপাদন অনেক কম হওয়ার কথা বলেছন চাষিরা। যার ফলে, গতবারের তুলনায় ধানের দাম বেশি হলেও হাসি নেই চাষির মুখে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, অতি বৃষ্টির ফলে উন্নত ফলনশীল (উফশী) জাতের ধানের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। স্থানীয় জাতের ধানে তেমন ঘাটতি হবে না। গত বছর আমন উৎপাদন হয়েছিল ২৩ হাজার মেট্রিক টন। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ হাজার মেট্রিক টনের। দুর্যোগ ও কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫০০মেট্রিক টন ফসল কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, গতবার এই সময়ে ধানের মন ছিল ৭০০ টাকা। কিন্তু এবার তা এক হাজার টাকা। যার ফলে, কিছুটা ক্ষতি হলেও চাষিরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

আরো পড়ুন
শেরপুরের গারো পাহাড়ে বাণিজ্যিক আনারস চাষে সাফল্য: সম্ভাবনায় ভরপুর পাহাড়ি কৃষি

শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া বাণিজ্যিক আনারস চাষ এখন রূপ নিচ্ছে স্থায়ী ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগে। পাহাড়ি জমিতে Read more

ইয়াং অ্যাগ্রিকালচার ক্যাডার অফিসার্স ফোরাম’-এর আত্মপ্রকাশ, ৪১ সদস্যদের কমিটি

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) কৃষি ক্যাডারের নবম গ্রেডে কর্মরত তরুণ কর্মকর্তাদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে নতুন সংগঠন—‘ইয়াং অ্যাগ্রিকালচার ক্যাডার অফিসার্স ফোরাম’। Read more

এদিকে মাঠের বাস্তব অবস্থা দেখে এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের মাঝামাঝি উফশী জাতের ধানে যখন ফুল আসে তখনই টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিাপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর পরে শুরু হয় ইঁদুর ও পোকার আক্রমণ। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার আমনে ক্ষেতে বালাই দেখা দেয়। এসব কারণে ফসল কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের চাষি মহারাজ খান জানান, এবছর তিনি সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। কিন্তু কারেন্ট পোকায় তার ফসলের সর্বনাশ করেছে। গতবছর বিঘাপ্রতি যে জমিতে ৫০ মণ ধান হয়েছে, এবার সেখানে হয়েছে ৩০-৩৫ মণ। এভাবে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার আমনের মাঠ ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে একই ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসীম উদ্দিন বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার ফসল কর্তন করে পরিমাপ করে দেখা গেছে বিঘায় ৪০ মণ ফলন হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পোকা অক্রমণ করায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এতে বড় ধরণের ঘাঠতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তাছাড়া, আমরা মাঠে গিয়ে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করাসহ পোকা দমনে চাষিতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

0 comments on “শরণখোলায় চাষিদের মুখে হাসি নেই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ