রোজা আসলেই দেশের পন্যের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। সরকার বিভিন্ন ভাবে পন্যের দাম নিয়ন্ত্রন রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক–কর কমিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর আলাদা প্রজ্ঞাপনে এসব পণ্যের শুল্ক–কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘রমজানে কিছু নিত্যপণ্যের দাম যাতে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সে জন্য পাঁচ পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। শুল্ক কমলে তার সুবিধা ভোক্তারা পাবেন বলে আশা করছি।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২৯ জানুয়ারি নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেওয়ার পর পাইকারি বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে চার-পাঁচ টাকা কমেছিল। তাই শুল্ক কমানোর ঘোষণায় নতুন করে আর কোনো প্রভাব পড়েনি।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে, আগে যা ছিল দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার টাকা, যা আগে ছিল তিন হাজার টাকা। এ সুবিধা মিলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
শুল্ককর বেশি কমিয়েছে খেজুরে। রোজার অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর আমদানিতে এত দিন শুল্ক–কর ছিল ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।