মাছ চাষে পানির রং দেখে বুঝা যায় এতে জুপ্লাংটন না ফাইটোপ্লাংটন এর উপস্থিতি বেশি। কিছু কিছু চাষী ভাই পানির রং সবুজ করতে এমন ভাবে উঠে পড়ে লেগেছে যে, অন্য দিকে নজর দেওয়ার সময়ও পাচ্ছেনা। অতিরিক্ত সবুজ হলে অনেক সময় মাছের জন্য ক্ষতিকর।
প্রাকৃতিক খাবার আধিক্যের উপর পানির রঙ নির্ভর করে। স্বাদু পানিতে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার প্রধান শর্ত পানির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা।
আসুন দেখে নেয়া যাক মাছ চাষে পানির কালার বা রঙ কেমন হওয়া উচিত।
রেনু/নার্সারির পুকুুর
পানিতে চুন ছাড়া কোন ধরনের জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু মাত্র রেনু বা ধানি পোনা মজুদের ৪৮ ঘন্টা আগে শতকে ১৫০ গ্রাম আটা, ৫০ গ্রাম চিটাগুড়, ২৫০ মিলি পানি, এক সাথে মিশিয়ে ৪৮ ঘন্টা ফার্মেন্টশন করে পুকুরে দিবেন। মাছ চাষে পানির রং হালকা সবুজ বা বাদামি রংয়ের।
ক্যাটফিস (যেমনঃ শিং মাগুর এবং পাবদা) মাছের পুকুুর
মাছ চাষে পানির রং থাকবে হালকা সবুজ বা বাদামি রংয়ের।
কোনমতেই পানি সবুজ করার জন্য গোবর, লিটার, ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে পারবেন না।
পাঙাশ ও তেলাপিয়ার পুকুুর
মাছ চাষে পানির রং থাকবে সবুজ, পুকুরে প্রয়োজনীয় প্লাংটন উপস্থিত থাকতে হবে সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে জৈব ও রাসায়নিক সার পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
কার্প ( কাতল, রুই, মৃগেল, গ্রাস কার্প এবং সিলভার) মাছের পুকুুর
মাছ চাষে পানির রং থাকবে সবুজের চাইতে একটু বেশি (হালকা গাঢ় সবুজ) তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত প্লান্কটন ও সবুজ ব্লম যেন না হয়।
পানিতে প্রয়োজনীয় জুওপ্লাংক্টন ও ফাইটোপ্লাংক্টন তৈরী করার জন্য জৈব/রাসায়নিক সার অথবা ফার্মেন্টশন করা সরিষার খৈল ব্যবহার করতে পারবেন।
চাষির অভিজ্ঞতা থেকে।