রাসায়নিক বা কেমিক্যাল মুক্ত আম শরীরের জন্য ক্ষতিকর এ জন্য কি আম খাওয়া বাদ দিতে হবে। বাজারে ভাল স্ব্যস্থ্যসম্মত কেমিক্যাল মুক্ত, কার্বাইড এবং ফরমালিন মুক্ত আম চেনার উপায় জানলে আপনাকে ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত আম খেতে হবে না।
পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে।
রাংলাদেশ যে সকল আমের জাত দেখা যায় তার মধ্যে ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত/হীমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকা,আড়া জাম, কাচামিঠা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, অরুনা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা ইত্যাদি প্রধান।
আম বেশি দিন পচনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ফরমালিন মেশানো হয়। আম পাকার জন্য কার্বাইড দেয়া হয়। ফরমালিন এবং কার্বাইড দুই রাসায়নিক ও মানুষের তথা পশুর জন্য ক্ষতিকর।
ফরমালিন যুক্ত আম সহ নানান ফল খেয়ে আমাদেরকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ রোগের সাথে লড়াই করতে হয় । তাই ফরমালিন যুক্ত ফলমূলের বাজার জাত করা রোধ করতে হবে।
তবে আমে কীটনাশক ব্যবহার করলে এ রেসিডিউ আর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
নিচের কাজ গুলো আম কেনার সময় সতর্ক হলেই খুব সহজেই চিনে নেয়া যাবে ফরমালিনমুক্ত আম ।
লক্ষ্য করুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কেননা ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।
আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ পাকা আম হলে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম দেখতে ঝকঝকে সুন্দর হবে।
গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়ে ।কার্বাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আম মোলায়েম ও দাগহীন। রাসায়নিক দিয়ে আম পাকানোর ক্ষেত্রে আম গুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়।
কার্বাইড পাকানো আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যেতে পারে ।গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, এবং উপরের দিকে হালকা রং হবে।
রাসায়নিক ওষুধ দেয়া আমে কোন গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে। আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে ঘ্রান নিয়ে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে।
রাসায়নিক ওষুধ দেয়া আমে আমে টক/ মিষ্টি কোনও স্বাদই থাকে না।
বাতাস চলাচল করে না এমন যায়গাতে আম রাখলে গাছ পাকা আম হলে গন্ধে চারপাশ মৌ মৌ করে । ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ থাকে না।
কিছু আম যেমন হিমসাগর এবং নানান জাতের আম আছে যারা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর এবং মিষ্টি ও কম থাকে।