Sunday, 24 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

 ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের আউশ ধান চাষে সফল চাষিরা


এবার ভোলায় প্রথমবারের মত আউশ ধানের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহায়তায় ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের এই আউশ ধান চাষ করে সফল ভোলার জেলার চাষিরা।দীর্ঘদিন চেষ্টা করে এইবার তারা সফলতা পেলেন।

চাষিরা জানান এ জাতের আউশ ধানের চাষে অনেক কম সময় প্রয়োজন পড়ে। একইসাথে ক্ষেতে রোগ, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। কম উতপাদন খরচে ফলনও অধিক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলার কৃষক সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ।

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

তারা বিভিন্ন ধরনের ধান প্রতি বছরই চাষ করেন। চলতি বছর বর্ষা মরসুমে জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ২০০ কৃষক ১৯৮ হেক্টর জমিতে  ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের আউশ ধান চাষ করেন। তাদের সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট । এটি বাস্তবায়ন করে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। সেখান থেকে হেক্টর প্রতি ৭ টন করে ধান সংগ্রহ করছেন চাষিরা।

নতুন জাতের এ ধান উতপাদনে কৃষকরা সফল হয়েছেন। মাঠে পাকা ফসলে হাসি ফুটে উঠেছে চাষিদের মুখে। অনেকেই আনন্দের সাথে পাকা ধান কাটার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ধান কাটতে কেউ সনাতনী বা হারভেস্টার ব্যবহার করছে।

ভোলা সদর উপজেলার চাষিরা জানান, প্রথমবার ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের আউশ ধান চাষ করে ক্ষেতে ব্যাপক ফসল পেয়েছেন।এতে তারা ব্যাপক খুশি।তাছাড়া  মাত্র ১১০ দিনের মধ্যে ধান পেকে যাওয়ায় তারা ধান কাটা শুরু করে দিয়েদিয়েছেন।

কৃষকরা আরও জানান, সাধারণত আউশ ধান চাষে ব্যাপক সার, কীটনাশক, পরিশ্রম ইত্যাদি সহ অনেক খরচ হয়। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক ফসল ঘরে তুলতে পারেন কম। কিন্তু ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের আউশ ধানের খরচ বা পরিশ্রম অনেক কম।  বরং তুলনামূলকভাবে খুব ভালো ফসল পাচ্ছেন।

রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, তাদের ইউনিয়নের কিছু চাষিরা ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের আউশ ধানের চাষ করেছে এবংব্যাপক লাভবান হয়েছে। অনেক কৃষক সরেজমিনে গিয়ে ক্ষেতের ফসল দেখে এসেছেন এবং উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তারা জানান যে যারাই এই জাতের ধান চাষ করেছেন তারাই বেশ লাভবান হচ্ছেন।

এতে এলাকার অন্য সকল চাষিরা আগামিতে এই জাতের ধান চাষ করার কথা ভাবছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জানান, যে ভোলার কৃষকদের ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের আউশ ধানের ব্রিজ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে যে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করার জন্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সহযোগীতা করেছে এবং এতে তারা সফল হয়েছেন। তিনি আশা করেন যে আগামী বছর চাষিরা আরও বড় পরিসরে এ জাতের ধান চাষ করতে আগ্রহী হবেন। আর এতে চাষি সংখ্যা বেড়ে যাবে।

0 comments on “ ব্রি হাইব্রিড ৭ জাতের আউশ ধান চাষে সফল চাষিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *