ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন ভোলা জেলার কৃষকেরা। এবছর ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজার দামও সন্তোষজনক। অনেক কৃষককের মাঝে উন্নত জাতের এই তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষকরা জানান, এবারই প্রথম অসময়ের ফসল বেবি তরমুজ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন তারা। উন্নত কৃষি-প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন ফলন ভালো হচ্ছেন, তেমনি বাজার দামও অনেক ভালো হয়েছে।
জানা গেছে, গতবছর সৌরভ হাওলাদার নামে এক যুবক ভোলায় প্রথম বারের মতো বেবি তরমুজ চাষ করে সফলতা পান। কম খরচে বেশি ফলন ও বাজারে চাহিদা থাকায় বেবি তরমুজ চাষে অন্যরাও আগ্রহী হতে শুরু করে।
কৃষকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে চলতি বছর পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের পেইজ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ণ সংস্থার সহযোগিতায় ভোলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় ৬০ জন কৃষককে বেবি তরমুজের প্রয়োজনীয় বীজ, প্রশিক্ষণ সহ নানা উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। সহযোগিতা পেয়ে কৃষকরা বেবি তরমুজ চাষ শুরু করে। বীজ রোপণের মাত্র এক মাসের মধ্যেই ফলন আসে বলে জানান কৃষকরা।
কৃষক চান মিয়া জানান, গত বছর তরমুজ চাষে একজন কৃষক লাভবান হয়েছেন দেখেতে পেয়ে এ বছর বেবি তরমুজের চাষ করেছি। এই প্রথম বারের মত তরমুজ আবাদ করেই সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছি। ক্ষেতে কোন পোকার আক্রমণ নেই। আবহাওয়া অনেক ভালো, তাই ফলন ভালো হয়েছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে আরও জানা গেল, পতিত জমিতে এর ফলন করে বেশি লাভবান তারা। কেউ কেউ দেখতে আসেন এবং চাষ করার জন্য পরামর্শ চান। বাজারে দাম ভালো পাওয়া যায়, এ তরমুজ খেতেও অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু।
ভোলা সদর কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, প্রথম দিকে নতুন ফসল হিসাবে কৃষকদের অনাগ্রহ থাকলেও এখন সবাই এ ফসলের উৎপাদনে আগ্রহী। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে এ তরমুজের চাষ করছেন কৃষকরা। কৃষিবিভাগও কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা করছে।
তিনি আরও বলেন, গত বছর চার শতাংশ জমিতে তরমুজের চাষ হলেও এ বছর জেলায় আড়াই হেক্টর জমিতে ব্লাক বেবি তরমুজে চাষ হয়েছে।