বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নেদারল্যান্ড এর সহযোগীতা কামনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী। মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান যে, বাংলাদেশের কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ে প্রতিনিয়ত। তা মোকাবিলায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে বর্তমানে কাজ চলছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা কাজ করে যাচ্ছেন লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা, উচ্চ তাপমাত্রাসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনে। ইতিমধ্যে অনেক সফলতাও এসেছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন এসব জাত উদ্ভাবনে অনেক সময় লেগে যায়। এটি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজন নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা।
নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইউরোপে কৃষি বাণিজ্য সম্প্রসারণে ১২ সদস্যের দল কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইউরোপ সফরে গেছেন।
তারই অংশ হিসেবে এ বৈঠক করেন কৃষি মন্ত্রী।
দেশটির ভাখেনিঙেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট লুইজি ও ফ্রেসকোর সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি, খাদ্য ও জীববিজ্ঞানের গবেষণা এবং শিক্ষায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভাখেনিঙেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ।
এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট লুইজি ও ফ্রেসকো।
বোর্ডের প্রেসিডেন্টের কাছে কৃষিমন্ত্রী উপস্থাপন করেন লেটার অব ইনটেন্ট বা এলওআই।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন উপযোগী নতুন জাত উদ্ভাবনে বিশ্ববিদ্যালয়টির সহযোগীতা চান।
তাছাড়া পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়টির সহযোগিতা চান।
প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকো এসব বিষয়ে সহযোগিতায় বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে বলে লুইজি ও ফ্রেসকো আশ্বাস দেন।
একই সাথে তিনি সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করার প্রতি জোর দেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ভাখেনিঙেন শহরের মেয়র ফ্লুর ভার্মিউলেনের সঙ্গে বৈঠক করেন একই দিন সকালে।
এ সময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, এসিআই অ্যাগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম এবং জেমকন গ্রুপের ডিরেক্টর কাজী ইনাম আহমেদ।