করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একাডেমিক ভবনগুলো জনশূণ্য। চারদিকে নিস্তব্ধতা। খেলার মাঠগুলো আর আগের মত মুখরিত থাকে না। পদচারণা না থাকায় মাঠের ঘাসগুলো ঘন হয়ে গিয়েছে।
এ সুযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) খেলার মাঠগুলো গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণে যেন গো-চারণ ভূমিতে রূপ নিয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য একটি স্টেডিয়াম ও ৫ টি খেলার মাঠ রয়েছে। বন্ধ ক্যাম্পাসে এখন খেলার মাঠগুলো গরু-ছাগলের দখলেই থাকে। তবে মাঝেমাঝে আবাসিক হলগুলোর ভেতরেও ঢুকে পড়ে। হলের বাগানের গাছপালা নষ্ট করা, যেখানে সেখানে বিষ্ঠা পথচারীদের যাতায়াতেও বিঘ্ন ঘটায়।
সামিউল আলম নামের এক পথচারী বলেন, প্রতিদিন এই পথ দিয়েই আমাকে অফিসে যেতে হয়। গবাদিপশুর যত্রতত্র বিষ্ঠার কারণে পথ চলতে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কখনো কখনো গরুর পাল রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন যানবাহন চালাতেও সমস্যা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল হক বলেন, করোনার কারণে ক্যাম্পাস ফাঁকা থাকার জন্যই মূলত তারা সুযোগ নিয়েছে। আমি নিরাপত্তা শাখার সাথে কথা বলবো। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীতে গত ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে খেলার মাঠগুলো সংস্কারসহ গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ বন্ধ চান বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।