কুকুর, বেড়াল, খোরগোশ ও অনেক সময় কচ্ছপ আমরা আমাদের শখের বশে পালন করি। এ সকল প্রানীকেই পোষা প্রানী_(Pet Animal) বলা হয়। কেমন হবে বর্ষা কালের পোষা প্রানী_Pet Animal এর যত্ন ?
বর্ষাকালে আদ্রতা বেশি থাকায় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ তৈরি হয়, এর কারনে পোষা প্রানীর নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়। তাই আমাদের ঘরে থাকা পোষা প্রাণীরও এই সময় দরকার বাড়তি যত্নের। আপনার পোষা কুকুর কিংবা বিড়ালের এই সময়ে তাই প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। তা না হলে প্রিয় কুকুর কিংবা বেড়ালটির পেটের অসুখ, ত্বকের সমস্যাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বর্ষাকালে পোষা প্রানীর শরীরের লোমের যত্ন
স্যাতস্যাতে হওয়ায় পোষা প্রাণীর গায়ের পশম ভেজা থাকলে দুর্গন্ধ ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। পোষা প্রানী_Pet Animal থাকার জায়গা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। থাকার যায়গা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। সর্তকতার সাথে পোশাক পরিবর্তন করে দিতে হবে।
কুকুর বা বিড়ালের পায়ের আঙ্গুল যেন ভেজা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে। মশা, মাছি যেন গায়ে না বসে এজন্য গায়ে ওষুধ মাখাতে হবে প্রয়োজনে।
পোষা প্রানীর যত্নে টিকা ব্যবহার
টিকা যেন বাদ না যায়। আপনার পোষা প্রানীকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে। বিশেষ করে কুকুর এবং বিড়ালের রাবিস ভাক্সিন। অবশ্যই পেট ডক্টরের পরামর্শ মত মেডিসিন এবং টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।
পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করন
একই খাবার বার বার দিবেন না। পোষা প্রানীর খাবার পরিবর্তন না করলে প্রানীর খাবারে অনীহা হতে পারে। পোষা প্রাণীকে স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়াতে হবে। খাবার খাওয়ানোর সময় বয়স ও শারীরিক গঠনের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে।
পোষা প্রানীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পরিস্কার পরিছন্নতা
শুষ্ক এবং জীবানুমুক্ত পরিবেশে রাখুন। মশা-মাছি রোধক শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন ভালভাবে গোসল করাতে হবে। মেডিকেটেড টিস্যু দিয়ে নিয়মিত কান পরিষ্কার করে দিতে হবে।
নিয়মিত দাত ও নখ কাটুন এবং পরিস্কার করুন।
বিশেষ সতর্কতা
বর্ষাকালে আপনার পোষা প্রাণীর সঠিক যত্নের জন্য একজন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। যেকোন সাপলিমেন্ট দেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এভাবে যত্ন করলে এই বর্ষাতেও সুস্থ থাকবে আপনার প্রিয় বেড়াল কিংবা কুকুর এবং পোষা প্রানী_Pet Animal।
জেনে রাখা ভালো, কুকুরকে কখনও ফাস্ট ফুড খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া আঙুর, অ্যাভোকাডো, পেঁয়াজ ও রসুন কুকুরের জন্য একেবারেই অনুপযোগি খাদ্য। এই খাবারগুলো কুকুরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।