বরগুনায় আউশের ভালো ফলন হয়েছে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। তুমুল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবার পরও তারা ধানের ফসল ঘরে তুলেছেন। ধানের ভালো ফলনে হাসি ফুটেছে এ অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, এ বছর আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৬ হাজার হেক্টর জমি। কিন্তু গত বছরের ভালে ফলন এবং আশা অনুযায়ী মূল্য পায় কৃষকেরা। একারণে এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তারা বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ করেছেন। সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১২ হেক্টর বেশি আবাদ করা হয়েছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আউশ ধান রোপণ করা হয়। কিন্তু বছর শুরুতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আঘাত হানে। যদিও তাতে আউশের তেমন ক্ষতি হয়নি।
এরপর আবার শ্রাবণ মাসের শুরুতে ফের টানা ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এ কারণে আউশের ক্ষেত পানিতে ডুবে যায়। ফলে তারা আউশের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু পানি দ্রুত কমে যাওয়ার কারণে আশঙ্কা কেটে যায়। তাদের ক্ষেত এখন সবুজের সমারোহ।
কৃষকদের দেওয়া তথ্য অনুসারে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সকল ধান কেটে নেবার উপযোগী হবে। ধান কাটা মৌসুম চলবে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
এবছর সদর উপজেলাসহ বরগুনা ছয়টি উপজেলাতেই আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষিবিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে এবং সময়মত জলাবদ্ধতা নিরসন হবার কারণে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়। তাছাড়া কৃষকরা জানান দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যথাসময়ে কৃষকদের সার এবং কীটনাশক সরবরাহ করেছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর বরগুনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি চাষাবাদ হয়েছে। এবছর বরগুনা জেলায় প্রায় ১২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তাই ফলনও এবার বেশি।
তার মতে গত মৌসুমে বাজারে ধানের দাম বেশি ছিল। এর ফলেই কৃষকরা আউশ ধান আবাদে এর প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। যদিও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং ভারী বর্ষণের কারণে আউশের আবাদে কিছুটা ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু এখন ফলন নিয়ে আশাবাদী অধিদপ্তর।