চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহসান এর মতে, “বাংলাদেশে ১৬ প্রজাতির বিষধর সামুদ্রিক সাপ রয়েছে।”
সামুদ্রিক সাপের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য- বড়শি-নাক সামুদ্রিক সাপ, মালাকা বা নীল সামুদ্রিক সাপ, ক্যান্টরের সরু মাথা সামুদ্রিক সাপ, বামন সামুদ্রিক সাপ, কালো-হলুদ বা পাতাল সামুদ্রিক সাপ, দাগি লাঠি সামুদ্রিক সাপ, পারস্য উপসাগরের সামুদ্রিক সাপ।
এছাড়াও রয়েছে কালো দাগি সামুদ্রিক সাপ, মোহনার সামুদ্রিক সাপ, কোচিন দাগি, বড় মাথা সামুদ্রিক সাপ, চাপা গলা বা বাংলা সামুদ্রিক সাপ, কালো ও হলুদ বা রঙ্গিলা বা ইয়েলো বেলিড সি স্নেক, কমন ছোট মাথা, হলুদ ঠুঁটি এবং বলয়যুক্ত সামুদ্রিক সাপ।
উপরোক্ত সাপের মধ্যে ছয় প্রজাতির সাপ সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির প্রধান অধ্যাপক মো. আবুল ফয়েজের ‘সর্প দংশন ও এর চিকিৎসা’ নামক বইয়ে বাংলাদেশে ১২টি প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেছেন।
বঙ্গোপসাগর, সুন্দরবনের নদী মোহনা থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় এসব সামুদ্রিক সাপের দেখা পাওয়া যায়।
তবে বিভিন্ন গবেষণায় মতে সামুদ্রিক সাপের প্রজাতির সংখ্যা ১৩ থেকে ১৮টির মধ্যে রয়েছে।