আহমেদ শিমু। লেখেন প্রতিচিত্র, সমাজের কঠিন বাস্তব চিত্র, অন্তরালের গল্প। লেখেন সমাজের গল্প, প্রতিবন্ধকতার গল্প। এবার একুশে বই মেলায় আসছে আহমেদ শিমুর তৃতীয় উপন্যাস (সামাজিক থ্রিলার) ‘দর্পণ’। ইতিমধ্যে বইটির প্রি-অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে।
উপন্যাস সম্পর্কে লেখক বলেন, দর্পণ উপন্যাসটি পড়লে আমাদের সমাজের কঠিন বাস্তব চিত্রগুলোর সাথে পাঠক পরিচিত হতে পারবে। বৃদ্ধাশ্রমের ঘটনা দিয়ে বইটার শুরু হয়েছে এবং সে সূত্র ধরেই মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত ও সামাজিক কিছু অবক্ষয়ের চিত্র বেরিয়ে এসেছে। কঠিন বাস্তবতাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, জীবনের সমীকরণ জটিল ও রহস্যময়। যা সময়ের সাথে সাথে আরো বেশি প্রগাড় হয়। জীবনের জাল ভেদ করে সবাই আস্তে আস্তে ধাবিত হয় নিজ নিজ কক্ষপথে। একটা সময়ের পর সবকিছু ম্লান হয়ে যায়, যদি যাপিত জীবনে কোন আত্মতৃপ্তি না থাকে। ভোগ বিলাসিতা অর্থ সম্পদ জীবনের মানদন্ডে একটি প্রয়োজনীয় দিক। তবে এর অতিরিক্ত চাহিদা ও প্রতিযোগিতা মানুষকে অসুস্থ করে তোলে। একটা সময়ে অর্থ বৃহত্তর খাতা পূর্ণ হলেও মানসিক প্রশান্তি বলে কিছু থাকে না। কারণ বিশুদ্ধ ভালোলাগা ও প্রাপ্তিগুলো ভোগে নয় ত্যাগের মধ্যেই নিহিত আছে। দর্পণ তেমনি একটা উপন্যাস। সামাজিক টানাপোড়নের রহস্য ও মধ্যবিত্ত জীবনের জটিলতা অত্যন্ত নিবিড় ভাবে ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে। কী সেই সমীকরণগুলো যা মেলাতে যেয়ে আপন মানুষগুলো পর হয়ে যায়? তাহলে কী যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবিগুলো শুধুমাত্র নিজ নিজ অন্ত দর্পণেই ভেসে ওঠে?
দর্পণ লেখকের চতুর্থ বই এবং তৃতীয় উপন্যাস। বইটি এশিয়া পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে ২০২০ একুশে বই মেলায় শব্দশৈলী প্রকাশনী হতে ‘অদৃশ্য দেয়াল’ উপন্যাস এবং আদিত্য অনিক প্রকাশনী হতে কাব্যগ্রন্থ ‘স্পর্শিতা’ ও উপন্যাস ‘শেষ পৃষ্ঠা’ ২০১৯ একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয়। শেষ পৃষ্ঠা উপন্যাসটি আদিত্য অনিক প্রকাশনীতে সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের মর্যাদা লাভ করে।