সুনামগঞ্জের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ১৮টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলায় গতকাল বুধবার প্রকল্প সমূহের কাজ শুরু হয়েছে। ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের নেতারা ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়াকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন প্রকল্পের সংখ্যা কম হলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে। কিন্তু নভেম্বর মাসের মধ্যে সব হাওরে প্রকল্প নির্ধারণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের কাজ শেষ হবার কথা। কিন্তু এখনও সেটি হয়নি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গতকাল জেলার বিভিন্ন হাওরের ১৮টি প্রকল্পে কাজ শুরু হয়।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, শাল্লা ও ধরমপাশা উপজেলার হাওরে প্রকল্প সমূূহের কাজ শুরু হয়েছে।
জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪৭টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে
বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হিসেবে পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন হাওরে এখনও পানি আছে, তাই প্রকল্প নির্ধারণের কাজ এখনো চলছে।
হাওরে বাঁধের কাজের নীতিমালা অনুসারে, প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের কাজ নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
১৫ ডিসেম্বর থেকে সকল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ কাজ শেষ করার কথা।
কাজের জন্য পিআইসি গঠন করা হয় স্থানীয় কৃষক ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে।
পাঁচ থেকে সাত সদস্যের পিআইসি গঠন করা হয়।
প্রতিটি পিআইসি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার কাজ করতে পারবে।
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।
তিনি বলেন, নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠন করার কথা।
কিন্তু প্রকল্প নির্ধারণই এখনো শেষ হয়নি।
পিআইসি গঠনের কোনো খবর তারা পাননি বলেই জানান বিজন সেন রায়।
তিনি বলেন, গণশুনানি করে এসব করার কথা থাকলেও এটি কোথাও হচ্ছে না।
ফসল রক্ষা বাঁধের এ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে ধরমপাশার ধানকুনিয়া হাওরের মুক্তারপুর ও মামুদনগর গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় মাটি কেটে।
কৃষকরা অভিযোগ করেন, এলাকার রাজনৈতিক নেতারা পিআইসি গঠনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।
যার কারণে পিআইসি গঠন কাজ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে।
কৃষকেরা এতে করে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
পাউবো সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম।
তিন বলেন, যথা সময়ে এবার বাঁধের কাজ শুরু করা গেছে।
বিভিন্ন হাওরে এখনো পানি থাকার কারনে সব স্থানে কাজ করা যাবে না।
পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলাতে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হবে।