দেশে ইলিশের পরিমান বাড়াতে ও প্রজনন সঠিক ভাবে হবার জন্য ইলিশের শিকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে ২২ দিনের জন্য। এ সময়ে সারা দেশের কোথাও ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি করা যাবেনা।
এ সময় ইলিশের শিকার ও বিক্রয় হলে সংশ্লিষ্ট দের কে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ তথ্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন প্রয়োজন।
সে লক্ষ্যে আগামি ৭ই অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এই ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বেচাকেনা, মজুত ও বিনিময় সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ।
অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছ সাধারনত সামুদ্রিক মাছ।
তবে প্রজনন মৌসুমে এরা নদী ও নদী মোহনায় ডিম ছাড়ার জন্য আসে।
এসময় প্রচুর পরিমানে ইলিশ ধরা পড়ে।
এদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের প্রিয় মাছ ইলিশ।
বিশেষ করে পান্তা ইলিশ একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার এদেশের মানুষের জন্য।
একটা সময় ইলিশ মাছের পরিমাণ ভয়ানক ভাবে কমতে থাকে।
তখন ইলিশ সংরক্ষণের নানা রকম সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
২০০৩-২০০৪ সালে প্রথম দেশে জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা ইলিশ এর প্রজননের সময়।
ইলিশ ধরায় প্রথমবারের মত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ২০০৮ সাল থেকে।
তখন থেকেই এই নিষেধাজ্ঞার সুফল দেখা যায়।
বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় জানতে পারেন, ইলিশ এর ডিম ছাড়ার সময় কেবল পূর্ণিমা নয়। একই সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ে। এরপরে পূর্ণিমার সঙ্গে অমাবস্যা মিলিয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু হয়। আর এতে ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।