উপজেলার গজারিয়া গ্রামে চার একর জমি ইজারা নিয়ে চার বছর আগে পেয়ারা চাষ শুরু করেন মাছুম। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে ছিল। তাই এ বছর তাঁর বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর পেয়ারা ধরেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাঁর বাগানে গিয়ে ভীড় করছেন।
মাছুম জানান যে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে পেয়ারাকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। কীটনাশকও ছিটাতে হয় না। বর্তমানে তাঁর বাগানে ২৪০০ পেয়ারাগাছ আছে। এর মধ্যে ১৪০০ গাছে তিনি ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ও বাকিগুলোতে ঝোপ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
কিভাবে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়
পেয়ারা যখন আকারে ছোট থাকে, তখন পেয়ারার ওপর দিয়ে পলিথিন পেঁচিয়ে ব্যাগিং করে দিতে হয়। এতে ক্ষতিকর পোকা পেয়ারার ওপর হুল বিঁধিয়ে দেয় পেয়ারার ভেতরে ক্ষতিকর পদার্থ ঢুকিয়ে পেয়ারাকে আস্তে আস্তে পচিয়ে ফেলতে পারেনা। এ পদ্ধতিকে ব্যাগিং পদ্ধতি বলে।
কিভাবে ঝোপ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়
এ পদ্ধতিতে পেয়ারা সংগ্রহের পর ডালটির কিছু অংশ রেখে বাকিটা কেটে ফেলতে হয়। কাটা স্থানে ১৫ দিন পর নতুন করে পাতা গজায়, এরপর ফুল ও পেয়ারা ধরে। এভাবে প্রায় প্রতি চার মাস পর একই ডালে আবার পেয়ারা ধরবে। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বছরে তিনবার বাগান থেকে পেয়ারার ফলন পাওয়া যায়। একে ঝোপ পদ্ধতি বলে।