Saturday, 23 August, 2025

নতুন জাতের মুরগি ‘বিএনডি প্রজাতি’


উন্নত এবং সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির মুরগি উদ্ভাবন করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিসার্স (আইসিএআর)-এর ত্রিপুরা সেন্টারের পোল্ট্রি সায়েন্স ডিভিশন। নতুন উদ্ভাবিত এই মুরগির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিএনডি প্রজাতি’।

আইসিএআর-এর ত্রিপুরা সেন্টারের পোল্ট্রি সায়েন্স ডিভিশনের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. বিনয় সিং এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারত বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের আবহাওয়া এবং পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে বেড়ে উঠতে পারে সে বিষয়টি ভাবনায় রেখে মুরগির প্রজাতিটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিএনডির সম্পূর্ণ নাম হচ্ছে ব্রয়লার, নেটো এবং ডারহামবে। এই মুরগি থেকে ডিম যেমন পাওয়া যাবে তেমনই এই মুরগি মেটাবে মাংসের চাহিদাও।

আরো পড়ুন
কুমড়ার ফলন বাড়ানোর কার্যকর উপায়

বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে কৃষিতে কুমড়া একটি বহুল চাষকৃত ও জনপ্রিয় সবজি। সারা বছর চাষযোগ্য এই ফসলের পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য Read more

বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ রক্ষায় অভয়াশ্রম জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা

দেশের বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ চিহ্নিত করে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, বিভিন্ন Read more

তিনি আরও বলেন, দেশি মুরগির সাথে উদ্ভাবিত মুরগির পার্থক্য রয়েছে। একটি দেশি মুরগি বছরে ৫০ থেকে ৬০টি ডিম দেয়। অপরদিকে বিএনডি প্রজাতির মুরগি দেয় বছরে ১৫০ থেকে ২০০টি ডিম। দেশি প্রজাতির মুরগির একটি ডিমের ওজন সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। অপর দিকে নতুন প্রজাতির মুরগির ডিমের ওজন ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত।

পাশাপাশি একটি দেশি মুরগির ওজন ১ থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত সর্বোচ্চ হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে ডিএনডি মুরগির ওজন হয় আড়াই থেকে ৩ কেজি। নতুন প্রজাতির মুরগিগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি তাই মৃত্যুর হার কম। এই মুরগিগুলোর শারীরিক বৃদ্ধি অনেক দ্রুত হয়।

মূলত তিনটি আলাদা প্রজাতির মুরগির মিলিত রূপ হচ্ছে বিএনডি প্রজাতির মুরগি। এই তিনি প্রজাতি হলো- কালার ব্রয়লার প্রজাতি, যা উত্তর প্রদেশের ব্যারেলি থেকে আনা হয়েছে; দ্বিতীয়টি হলো- ডালহামরেট অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদ থেকে আনা হয়েছে এবং তৃতীয়টি হচ্ছে স্থানীয় প্রজাতির মুরগি।

কালার ব্রয়লার প্রজাতির মোরগ ও স্থানীয় প্রজাতির মুরগির মধ্যে মিলন ঘটিয়ে সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়েছে। এর পর নতুন প্রজাতির মুরগির সঙ্গে ডালহামরেট মোরগের মিলন ঘটানোর পর চূড়ান্ত পর্যায়ে বিএনডি প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে।

এই প্রজাতির মুরগি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে উদ্ভাবন করা হয়েছে আগরতলার পার্শ্ববর্তী লেম্বুছড়া এলাকার আইসিএআর ত্রিপুরা সেন্টারে। এরপর তারা কয়েক বছর সেন্টারের খামারে এগুলোকে পালন করে পর্যবেক্ষণ করে সুনিশ্চিত হওয়ার পর তারা এগুলো সাধারণ খামারিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

ইতোমধ্যে মানুষের কাছে প্রায় ৬০ হাজার বিএনডি প্রজাতির মুরগির বাচ্চা দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে এই বাচ্চাগুলো সরবরাহ করা হয়েছে।

0 comments on “নতুন জাতের মুরগি ‘বিএনডি প্রজাতি’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ