Friday, 01 August, 2025

দেশে প্রথমবারের মতো কফির জাত উদ্ভাবন


দেশে প্রথমবারের মতো কফির নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আওতাধীন খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা।

আগামী দুই মাসের মধ্যে ‘বারি কফি-১’ নামের এই জাতটির অনুমোদন মিললে এটিই হবে দেশের কফির প্রথম জাত।

এরই মধ্যে গবেষকরা কফির সংগৃহীত জার্মপ্লাজম থেকে মূল্যায়নের মাধ্যমে রোবাস্তা কফির অগ্রবর্তী লাইন চিহ্নিত করেছেন। একই সঙ্গে জাতসম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পর সমন্বয় করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

আরো পড়ুন
২৫ টি বিপজ্জনক বালাইনাশকে হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্যঃবাকৃবি

মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্যের উৎপাদনই এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে। অধিক ফলনের আশায় কৃষিতে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের ফসলের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে Read more

বীজ উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে এসিআই-এর অগ্রণী ভূমিকাঃ ড. এফ এইচ আনসারী

বাংলাদেশের কৃষি খাতে গত তিন দশকে অসাধারণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই অগ্রগতির সাক্ষী হিসেবে আমি এই খাতের একজন কর্মী হিসেবে Read more

প্রকল্প পরিচালক আবু তাহের মাসুদ বলেন, ‘খুব শিগগির এটি অনুমোদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এটি হবে রোবাস্তা প্রজাতির একটি কফির উন্নত জাত। পাহাড়ে এর ফলন বেশ ভালো ও দ্রুত হয়। পোকার উপদ্রবও কম হয়। নিয়ম অনুসারে দেশের আবহাওয়া উপযোগী এই জাতের তথ্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিড উইংয়ে পাঠাতে হবে। তারা যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেবে, এটা আমরা নিশ্চিত। এরপর ‘বারি কফি-১’ রিলিজ দেওয়া হবে।’

জানা যায়, নব্বই দশকের শুরু থেকেই খাগড়াছড়ির গবেষণাকেন্দ্রে কফির ৪০টি চারা দিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ওই সময় খুব বেশি এগোয়নি গবেষণা। তবে গেল পাঁচ-সাত বছরে কফি চাষের বেশ অগ্রগতি হয়েছে।

বিশ্বে ৬০ প্রজাতির কফি থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদযোগ্য প্রজাতি মাত্র দুটি। সেগুলো হলো কফি রোবাস্তা ও কফি অ্যারাবিকা। রোবাস্তা জাতের কফি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় খুব উপযোগী। এটি সাধারণত সমুদ্র থেকে ৫০০-১০০০ মিটার উচ্চতায় এবং ১০০০-২০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ভালো ফলে। সে জন্য বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চল ও টাঙ্গাইলের মধুপুরগড়ের আবহাওয়ায় এটির সম্প্রসারণ সম্ভব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) হর্টিকালচার উইংয়ের তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কফির উৎপাদন এলাকা ছিল প্রায় ১১৮.৩ হেক্টর, মোট উৎপাদন ছিল প্রায় ৫৫.৭৫ টন। ডিএইয়ের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি করা প্রক্রিয়াজাত কফির পরিমাণ ছিল ৩২.৫১৭ টন। যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

বর্তমানে পাহাড়ের তিন জেলায় কফি উৎপাদিত হলেও এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই হয় বান্দরবানে। আশাজাগানিয়া খবর হলো, পার্বত্যাঞ্চল ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও রংপুর এবং টাঙ্গাইলে কফি চাষ শুরু হয়েছে।

0 comments on “দেশে প্রথমবারের মতো কফির জাত উদ্ভাবন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ