বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দূর্যেোগের দেশ। ভৌগলিক অবস্থান এবং জলবায়ুগত কারণে প্রায় প্রতিবছরই আমাদের দেশে নেমে আসে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ। কিছু কিছু দূর্যোগ তো নিত্যকার সঙ্গী আমাদের। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি। এসব দূর্যোগে মানুষ ও সম্পদের হয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
প্রতিবছর তাই আমাদের দেশে চলে ত্রাণ কার্যক্রম। এবার সেই ত্রাণ এর মধ্যে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরেকটি সবজি। দূর্যোগ আক্রান্ত মানুষের জন্য সরকারের ত্রাণ সহায়তায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে আলু। দেশে আলুর ফলন বেড়ে যাওয়ায় এমন উদ্যোগ। এতে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত নিশ্চিত করা হবে এবং ভোক্তা পর্যায়ে আলুর চাহিদা মেটানো হবে। ত্রাণ সহায়তায় আলু যুক্ত করতে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
সরকারী নির্দেশনা
গত শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ ত্রাণ কার্যক্রমে আলু বিতরণের জন্য কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় এছাড়াও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে এই চিঠি দিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এর চিঠি দেবার বিষয়টি গত রোববার সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এর এই চিঠিতে জানানো হয় যে, দেশে আলুর উৎপাদন উত্তরোত্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে ২০২০-২১ অর্থবছরে আলুর মোট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১১৩ দশমিক ৭১ লাখ মেট্রিক টন। যা প্রচুর পরিমানে মজুত রয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বর্তমানে আলুর পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। উৎপাদিত আলু সমূহের বহুমুখী ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে প্রদানকৃত ত্রাণের সাথে আলু যুক্ত হবে। হতদরিদ্র লোকজনের মাঝে চাল, গম, আটা এবং অন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি আলুও একই সাথে বিতরণ করা যেতে পারে।’
এর মধ্য দিয়ে আলুর বহুমুখী ব্যবহার যথাযথ ভাবে বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর চাহিদা যথাযথ ভাবে পূরণ হবে বলে মনে করছে সরকার।
পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয় জানায় যে, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করণ খুব দ্রুতই নিশ্চিত করা হবে।
দেশে পর্যাপ্ত আলুর মজুত থাকার কারণে ত্রাণ কার্যক্রমে চাল, গম, আটা এবং অন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কথা বলা হয়। এই তালিকায় আলুর অন্তর্ভুক্তি করণে আলাদা আলাদা তিনটি চিঠি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।