রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার চরাঞ্চলের কৃষকরা জৈব পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করছেন। স্থানীয় বাজারে এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিষমুক্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত দেশি বেগুন, করলা, ফুলকপি ও পাতাকপি এখন বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলার চর তাম্বুলপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা জেনেছি কীটনাশক দিয়ে সবজি চাষ করলে সবজি বিষযুক্ত হয়ে পড়ে। তাই আমরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন শুরু করেছি। আমি একা না, অনেকে এখন বিষমুক্ত সবজি চাষ করছে। সবার এক কথা, ‘নিজেরা বিষমুক্ত সবজি খাব, অন্যদেরও খাওয়াব’।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, রাসায়নিক সার, বালাইনাশক ও আগাছানাশক ছাড়াই শুধুমাত্র সবুজ সার, কম্পোস্ট, জৈবিক বালাই দমন এবং যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষই বিষমুক্ত জৈব সবজি উৎপাদন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিকভাবে ফসল উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না হওয়ায় ফসল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার, সবুজ সার ও খামারজাত সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন নিশ্চিত হয়। নেট হাউস তৈরি করে তার ভেতরে শাকসবজি চাষ করে কীটনাশক ছাড়াই অনেক পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কৃষকরা জানান, সবজি চাষে তারা এখন কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। জৈব সার দিয়েই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পোকার হাত থেকে রক্ষা পেতে পুরো সবজি ক্ষেত নেট জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে পোকা-মাকড় ও পশু-পাখির অত্যাচার থেকে ফসল রক্ষা করা যায়।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুর রহমান বলেন, জৈব পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ বেড়েছে। এ পদ্ধতিতে জমিতে কোনো প্রকার কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। ফলে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন হচ্ছে।