ছাগলকে গরীবের গাভী বলা হয়। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রায় ২০ মিলিয়ন ছাগলের মধ্যে ক্ষুদ্র এবং মাঝারী খামারীরা প্রায় ৯৩ ভাগ পালন করে । আমরা আলোচনা করবো ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এর খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে। ব্ল্যাক বেঙ্গল হল ছাগলের একটি জাত যা বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের ওড়িশা অঞ্চলে পাওয়া যায়।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস অনেক সুস্বাদু এবং চামড়া উন্নতমানের । ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এবং তারা দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী। চলুন জেনে নেয়া যাক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বৈশিষ্ট্য
- ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এর দেহ মূলত কালো বর্ণের, তবে বাদামী, ধুসর ও সাদা রঙের ছাগলও দেখা যায়।
- আকারে ছোট কিন্তু দেহের কাঠামো আঁট এবং পশম খাটো ও নরম।
- শিং ছোট ও পা খাটো এবং পিঠ সমতল।
- কানের আকার ১১-১৪ সেমি এবং সামনের দিকে সুচালো।
- একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ছাগলের ওজন হয় ২৫-৩০ কেজি এবং মাদী ছাগলের ওজন হয় ২০-২৫ কেজি।
- পূর্ণবয়স্ক ছাগলের উচ্চতা ৫০ সেমি হয়ে থাকে।
- উভয় লিঙ্গের ছাগলেই দাঁড়ি দেখা যায়।
- মাদী ছাগল বছরে দুই বার গর্ভধারন করতে পারে এবং প্রতিবারে দুই থেকে চারটি বাচ্চা প্রসব করে।
- বাচ্চার মৃত্যুর হার ৫-১০ শতাংশ।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে সুবিধাদি
- পারিবারিক আয় বৃদ্ধি পায়;
- আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়;
- পারিবারিক আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে;
- চামড়া রফতানির মাধ্যমে অধিকতর আয় বাড়ে;
- ছাগলের দুধ খুবই পুষ্টিকর এবং এলার্জি উপসর্গ উপশমকারী;
- গোশত সুস্বাদু ও চামড়া উন্নতমানের;
- অধিক বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী
- ছাগল পালনে অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়, পারিবারিক যে কোনো সদস্য দেখাশোনা করতে পারেন;
- দ্রুত বংশ বৃদ্ধি ঘটে বলে অল্প সময়ে সুফল পাওয়া যায়;
- সব ধর্মালম্বী লোকদের জন্য ছাগলের গোশত সমাদৃত;
- ছাগল পালনে অন্যান্য পশুর মতো আলাদ বিশেষ গোচারণভূমির প্রয়োজন হয় না;
- ক্ষেতের আইলের, রাস্তার ধারে, বাড়ির আশপাশের অনাবাদি জায়গার ঘাস লতাপাতা খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে;
- অল্প পুঁজিতে লালন পালন করা যায়;
- গবাদিপশুর মতো উন্নতমানের খাদ্য আবাসন বা অন্যান্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন ব্যবস্থাপনা
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগী নির্বাচন
একটি ছাগীর নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ
মাথা: চওড়া ও ছোট
দৈহিক গঠন: শরীর কৌনিক এবং অপ্রয়োজনীয় পেশীমুক্ত
বুক ও পেট: বুকের ও পেটের বেড় গভীর
পাজরের হাড়: পাজরের হাড় চওড়া এবং দুইটি হাড়ের মাঝখানে কমপক্ষে এক আঙ্গুল ফাঁকা জায়গা থাকবে
ওলান: ওলানের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে। বাঁটগুলো হবে আঙ্গুলের মত একই আকারের এবং সমান্তরালভাবে সাজানো। দুধের শিরা দেখা যাবে।
বাহ্যিক অবয়ব: আকর্ষণীয় চেহারা, আকৃতি, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিখুঁত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
ব্ল্যাক বেঙ্গল পাঁঠা নির্বাচন
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এর একটি পাঁঠার নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ
চোখ: পরিষ্কার, বড় ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হবে
ঘাড়: খাটো ও মোটা থাকবে
বুক: গভীর ও প্রশস- হবে
পিঠ: প্রশস- হবে
লয়েন: প্রশস্থ ও পুরু এবং রাম্প এর উপরিভাগ সমতল ও লম্বা থাকবে
পা: সোজা, খাটো এবং মোটা হবে। বিশেষ করে পিছনের পাদ্বয় সুঠাম ও শক্তিশালী হবে এবং একটি হতে অন্যটি বেশ পৃথক থাকবে
অন্ডকোষ: শরীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ঝুলানো থাকবে
বয়স: অধিক বয়স্ক (২ বছর বয়সের বেশী) পাঁঠা নির্বাচন করা যাবে না
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের দাঁত দেখে বয়স নির্ণয়
- অস্থায়ী-দুধের দাঁত সবগুলো থাকলে ছাগলের বয়স ১২ মাসের নিচে।
- মাঝের এক জোড়া স্থায়ী দাঁত উঠলে ছাগলের বয়স ১২ থেকে ১৫ মাস। দুই জোড়া
- স্থায়ী দাঁত উঠলে ছাগলের বয়স ১৬ থেকে ২৪ মাস।
- তিন জোড়া স্থায়ী দাঁত উঠলে ছাগলের বয়স ২৫ থেকে ৩৬ মাস।
- চার জোড়া স্থায়ী দাঁত উঠলে ছাগলের বয়স ৩৭ মাস থেকে ঊর্ধে হবে।
ছাগলের বাসস্থানঃ
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এর ঘরঃ
- ছাগল সাধারণত পরিষ্কার, শুষ্ক, দুর্গন্ধমুক্ত, উষ্ণ, পর্যাপ্ত আলো ও বায়ূ চলাচলকারী পরিবেশ পছন্দ করে।
- গোবরযুক্ত, স্যাঁত স্যাঁতে, বদ্ধ, অন্ধকার ও পুতিগন্ধময় পরিবেশে ছাগলের রোগবালাই যেমন: নিউমোনিয়া, একথাইমা, চর্মরোগ, ডায়রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন জাতীয় সংক্রামক ও পরজীবীয় রোগ হতে পারে। সেই সাথে ওজন বৃদ্ধির হার, দুধের পরিমাণ এবং প্রজনন দক্ষতা কমে যায়।
- প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলের জন্য গড়ে ৮-১০ বর্গ ফুট জায়গা প্রয়োজন।
- প্রতিটি বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য গড়ে ৫ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন।
- ছাগলের ঘর ছন, গোল পাতা, খড়, টিন বা ইটের তৈরী হতে পারে।
- তবে যে ধরণের ঘরই হউক না কেন ঘরের ভিতর বাঁশ বা কাঠের মাচা তৈরী করে তার উপর ছাগল রাখতে হবে।
- মাচার উচ্চতা ১.৫ মিটার (৫ ফুট) এবং মাচা থেকে ছাদের উচ্চতা ১.৮-২.৪ মিটার (৬-৮ ফুট) হবে।
- গোবর ও প্রশ্রাব পড়ার সুবিধার্থে বাঁশের চটা বা কাঠকে ১ সেঃ মিঃ (২.৫৪ ইঞ্চি) ফাঁকা রাখতে হবে।
- মাচার নিচ থেকে সহজে গোবর ও প্রগ্রাব সরানোর জন্য ঘরের মেঝে মাঝ বরাবর উঁচু করে দুই পার্শ্বে ঢালু (২%) রাখতে হবে।
- মেঝে মাটির হলে সেখানে পর্যাপ্ত বালি মাটি দিতে হবে।
- ছাগলের ঘরের দেয়াল, মাচার নিচের অংশ ফাঁকা এবং মাচার উপরের অংশ এম.এম. ফ্ল্যাক্সিবল নেট হতে পারে।
- বৃষ্টি যেন সরাসরি না ঢুকে সে জন্য ছাগলের ঘরের চালা ১-১.৫ মিঃ (৩.২৮-৩.৭৭ ফুট) ঝুলিয়ে দেয়া প্রয়োজন।
- শীতকালে রাতের বেলায় মাচার উপর দেয়ালকে চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
- শীতের সময় মাচার উপর ১০-১২ সেঃ মিঃ (৪-৫ ইঞ্চি) পুরু খড়ের বেডিং বিছিয়ে দিতে হবে।
- বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন ধরণের ছাগলকে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে রাখা উচিৎ।
- পাঁঠাকে সব সময় ছাগী থেকে পৃথক করে রাখা উচিৎ।দুগ্ধবতী, গর্ভবতী ও শুষ্ক ছাগীকে একসাথে রাখা যেতে পারে।
- শীতকালে বাচ্চাকে রাতের বেলা মায়ের সাথে ব্রুডিং পেনে রাখতে হবে। ব্রুডিং পেন একটি খাঁচা বিশেষ যা কাঠের বা বাঁশের তৈরী হতে পারে। এর চারপার্শ্বে চটের ব্স্তা দিয়ে ঢাকা থাকে।
ছাগলের ঘরের আয়তন বা মাপ
- একটি ছাগলের জন্য কমপক্ষে চারদিকে ১.৫ মিটার বর্গাকার জায়গা প্রয়োজন(১.৫ মিটার×১.৫ মিটার)।
- দোচালা বা চারচালা ঘর হলে দেয়াল কমপক্ষে ২ থেকে ২.৫ মিটার উচ্চতা হতে হবে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস যাতে ঘরে প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ঘরে ছাগলের জায়গার পরিমাণ
ছাগলের প্রকৃতি | প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ (বর্গমিটার) |
বাচ্চা ছাগল | ০.৩ |
পূর্ণ বয়স্ক ছাগল | ১.৫ |
গর্ভবর্তী ছাগল | ১.৯ |
পাঁঠা | ২.৮ |
ছাগলের ঘরের পরিচর্যা ও জীবাণুমুক্ত করণ পদ্ধতি
- ছাগলসকালে বের করার পর ছাগলের ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করেত হবে ।
ছাগলের ঘর স্যাঁতস্যাঁতে মুক্তরাখতে হবে ।আলো, বাতাস ওবায়ু চলাচল সুব্যবস্থা রাখতে হবে । - বৃষ্টির পানি ওঠাণ্ডা দুটোই ছাগলের জন্য ক্ষতিকর, তাইএ দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
- সপ্তাহে একদিন ছাগলেরঘর জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানিদিয়ে ভালমতো পরিষ্কর করতে হবে ।
ছাগলের বাচ্চার যত্ন
- শুকনা জায়গায় বাচ্চা প্রসবের ব্যবস্থা করতে হবে।
- বাচ্চা প্রসবের পর বাচ্চার পুরো শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নাভি থেকে ৩-৪ সেঃ মিঃ নিচে কেটে দিতে হবে।
- কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাচ্চাকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে। কারণ এতে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- জন্মের পর বাচ্চার নাভি টিংচার আয়োডিন দিয়ে মুছে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- মায়ের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ না হলে কৃত্রিমভাবে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
- প্রথম সপ্তাহ বাচ্চাকে ৫ ঘণ্টা পরপর খাওয়াতে হবে। পরবর্তী সপ্তাহে দিনে ৪ বার খাওয়ালেই চলবে।
- উল্লেখ্য যে, কৃত্রিমভাবে দুধ খাওয়াতে হলে বোতল ও নিপল অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে।
- জন্মের ২-৩ সপ্তাহ পর হতেই দানাদার ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে।
- শীতের সময়ে বাচ্চাকে মায়ের সাথে ব্রুডিং পেনে রেখে ২৫-২৮ সেঃ তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
- বাচ্চা যেন অতিরিক্ত দুধ না খায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
- যেসব পাঁঠা বাচ্চা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত হবে না তাদেরকে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে খাসি করাতে হবে।
ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনা
- ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাই খামারের অন্যতম প্রধান বিষয়। ইন্টেনসিভ এবং সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ছাগলের খাদ্যের পরিমাণ ও গুনগত মান নির্ভর করে চারণ ভূমিতে প্রাপ্ত ঘাসের পরিমাণ ও গুনগত মানের উপর।
ছাগলের বাচ্চাকে কলষ্ট্রাম ( শাল দুধ ) খাওয়ানো
- সাধারণত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চার ওজন ০.৮-১.৫ কেজি (গড়ে ১.০০ কেজি) ওজন হয়।
- বাচ্চা জন্মের পরপরই পরিস্কার করে আধা ঘন্টার মধ্যেই মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে।
ছাগলের বাচ্চার প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই পরিমাণ দুধ দিনে ৮-১০ বারে খাওয়াতে হবে।
- দুই বা ততোধিক বাচ্চা হলে প্রত্যেকেই যেন শাল দুধ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ছানা সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে দুধ ছাড়ে।
- ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের দুধ উৎপাদন কম হওয়ায় ২-৩ ছানা বিশিষ্ট মা ছাগীর দুধ কখনো কখনো বাচ্চার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারেনা।
- এক্ষেত্রে ছানাকে পরিমাণমত ৩৭-৩৮ সেঃ তাপমাত্রায় অন্য ছাগলের দুধ বা মিল্ক রিপ্রেসার খাওয়ানো উচিত। ছাগলের বাচ্চার দানাদার খাদ্য মিশ্রণ কম আঁশ, উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ বিপাকীয় শক্তি সম্পন্ন হতে হয়।
ছাগলের বাচ্চাকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানো
- ছাগল ছানা প্রথমে মায়ের সাথেই দানাদার খাবার খেতে অভ্যস্থ হয়।
- ছাগলের বাচচাকে জন্মের প্রথমে সপ্তাহ থেকে ঘাসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। সাধারণত শুরুতে মায়ের সাথেই বাচ্চা ঘাস খেতে শিখে।
- অভ্যস্থ করলে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকেই বাচচা অল্প অল্প ঘাস খায়। এ সময়ে বাচ্চাকে কচি ঘাস যেমন: দুর্বা, স্পেনডিডা, রোজী, পিকাটুলাম, সেন্টোসোমা, এন্ড্রোপোগন প্রভৃতি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া, ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, ধইঞ্চা ইত্যাদি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে।
বাড়ন্ত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনা
- ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের ৩-১২ মাস সময়কালকে মূল বাড়ন্ত সময় বলা যায়।
- এ সময়ে যেসব ছাগল প্রজনন বা মাংস উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে তাদের খাদ্য পুষ্টি চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
- দুধ ছাড়ানোর পর থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত সময়ে ছাগলের পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে থাকে।
- এজন্য এ সময়ে পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ দানাদার ও আঁশ জাতীয় খাদ্য দিতে হবে।
প্রজননক্ষম পাঁঠার খাদ্য ব্যবস্থাপনা
- পাঁঠার খাদ্য ব্যবস্থাপনা বাড়ন্ত ছাগলের মতই। তবে প্রজননে সহায়তার জন্য প্রতিটি পাঁঠাকে দৈনিক ১০ গ্রাম ভিজানো ছোলা দেয়া প্রয়োজন।
- একটি পাঁঠা ১০ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত প্রজননক্ষম থাকে। কোনভাবেই পাঁঠাতে বেশি চর্বি জমতে দেয়া উচিত নয়।
- ২৮-৩০ কেজি ওজনের পাঁঠার জন্য দৈনিক ৪০০ গ্রাম পরিমাণ দানাদার খাবার দেয়া প্রয়োজন।
দুগ্ধবতী ও গর্ভবতী ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনা
- দুগ্ধবতী ছাগল তার ওজনের ৫-৬ শতাংশ হারে শুষ্ক পদার্থ খেয়ে থাকে। একটি তিন বছর বয়স্ক ২য় বার বাচ্চা দেয়া ছাগীর গড় ওজন ৩০ কেজি হারে দৈনিক ১.৫-১.৮ কেজি শুষ্ক পদার্থ খেয়ে থাকে।
- এক্ষেত্রে ১-১.৫ কেজি পরিমাণ শুষ্ক পদার্থ ঘাস থেকে (৩-৫ কেজি কাঁচা ঘাস) বাকি ০.৫-০.৮ কেজি শুষ্ক পদার্থ দানাদার খাদ্য থেকে দেয়া উচিত। যেহেতু ছাগী বাচ্চা দেয়ার ১.৫- ২.০ মাসের মধ্যে গর্ভবতী হয় সেজন্য প্রায় একই পরিমাণের খাবার গর্ভাবস্থায়ও ছাগলকে দিতে হবে।
ছাগলের দানাদার খাদ্যের সাধারণ মিশ্রণ (%)
গম/ভূট্টা ভাঙ্গা/চাল- ১২.০০
গমের ভূষি/আটা কুড়া- ৪৭.০০
খেসারী/মাসকালাই/অন্য ডালের ভূষি-১৬.০০
সয়াবিন খৈল- ২০.০০
শুটকি মাছের গুড়া- ১.৫০
ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট- ২.০০
লবণ- ১.০০
ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স – ০.৫০
মোট= ১০০.০০
ছাগলের খাওয়ানো পদ্ধতি
- পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার সুবিধামতো সময়ে দিনে দুই বা ততোধিক বারে সরবরাহ করলেই চলবে।
- দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতি ছাগীকে প্রতিদিন ১৬০ গ্রাম অর্ধেক করে সকালে ৮০ গ্রাম এবং বিকালে ৮০ গ্রাম খাওয়াতে হবে এবং তিন মাস বয়স পর্যন্ত প্রতিটি ছাগলের বাচ্চাকে প্রতিদিন ১০০ গ্রাম (৫০ গ্রাম সকালে ও ৫০ গ্রাম বিকালে) সরবরাহ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- সকাল ৬-৭ টা দৈনিক প্রয়োজনের ১/২ অংশ দানাদার এবং ১/৩ অংশ আঁশ জাতীয় খাদ্য দিতে হবে । প্রথমে দানাদার খাদ্য আলাদা আলাদা পাত্রে এবং পরে আঁশ জাতীয় খাদ্য একত্রে দিতে হবে ।
- সকাল ৬-৯ টা- পাতা সমেত গাছের ডাল ঝুলিয়ে দিতে হবে ।
- দুপুর – ১২ টা – ভাতের মাড় ১/৩ অংশ আঁশ জাতীয় খাদ্য সরবরাহ করতে হবে ।
- বিকাল- ৪-৫ টা – অবশিষ্ট দানাদার খাদ্য পূর্বের ন্যায় সরবরাহ করতে হবে ।
- সন্ধ্যা- সন্ধার পূর্বে ছাগল ঘরে তুলে দিনের অবশিষ্ট ১/৩ অংশ আঁশ জাতীয় খাদ্য সরবরাহ করতে হবে ।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল লালন পালন পদ্ধতি
- প্রতিদিনসকালে ঘর থেকে ছাগল বের করে ঘরের আশে পাশে চরতে দিতে হবে
- এদেরকেব্যায়াম ও গায়ে সূর্য কিরণ লাগানোর পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে ।
- ঘরথেকে ছাগল বের করার পর ভাল করে ধুতে হবে ।
- ঘরথেকেছাগল বের করার আগে কোন ছাগল অসুস্থ আছে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে।
- কোনছাগলের মধ্যে অসুস্ততার লক্ষন দেখা দিলে তা সাথে সাথে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে ।
- খামারেবেশি ছাগল হলে তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য ট্যাগ নম্বর লাগাতে হবে
- ছাগলকেনিয়মিত সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে ।
- ছাগলপানি পছন্দ করে না তাই নিয়মিত গোসলের পরিবর্তে ব্রাশ দিয়ে দেহ পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে লোমের ময়লা বের হয়ে আসে, রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ব্রাশ করালে লোম উজ্জ্বল দেখায়এবং চামড়ার মান বৃদ্ধি পায় ।
- সকলবয়সের ছাগলকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং নিয়মিত টিকা প্রদান করতে হবে।
ছাগলের প্রজনন ব্যবস্থাপনা
- একটা পাঁঠা সাধারণত: ৩/৪ মাস বয়সে যৌবন প্রাপ্ত হয় কিন্তু আট/নয় মাস বয়সের পূর্বে পাল দেবার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
- কোন পাঁঠার শারীরিক দুর্বলতা, পঙ্গুত্ব বা কোন যৌন অসুখ সমস্ত পালকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সেদিকে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে।
- দশটি ছাগীর জন্য একটা পাঁঠাই যথেষ্ট।
- ছাগী যখন প্রমবারে (৫-৬ মাস বয়সে) গরম (Heat) হয় তখন তাকে পাল না দেওয়াই ভাল।
- এক্ষেত্রে এক/দুইটি হিট বাদ দিয়ে মোটামুটি ১১-১২ কেজি ওজনের সময় পাল দেয়া উচিত।
ছাগীর হিটে আসার লক্ষণ
- মিউকাস নিঃসরণ
- ডাকাডাকি করবে
- অন্য ছাগীর উপর উঠা ইত্যাদি।
- ছাগী হিটে আসার ১২-৩৬ ঘন্টার মধ্যে পাল দেওয়া উচিত। অর্থাৎ সকালে হিটে আসলে বিকেলে এবং বিকেলে হিটে আসলে পরদিন সকালে পাল দিতে হবে।
ছাগীকে পাল দেয়ার নিয়ম ও সময়
- ছাগী গরম হওয়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল দিতে হয়।
- সকালে গরম হলে বিকালের মধ্যে পাল দিতে হবে। বিকালে গরম হলে পরদিন সকালের মধ্যে পাল দিতে হবে।
- সম্ভব হলে ১২ ঘণ্টা ও ২৪ ঘণ্টা সময়ের মাথায় দু’বার পাল দিতে হবে।
- পাল দেয়ার ৫ মাসের (১৪০ থেকে ১৫০ দিন) মধ্যে ছাগী সাধারণত বাচ্চা দেয়।
ছাগলের বাচ্চাকে খাসিকরণ
- ছাগলের বাচ্চার বয়স ২ থেকে ৪ সপ্তাহ অর্থাৎ ১৪ থেকে ২৮ দিন বয়সের মধ্যেই খাসি করানোর উপযুক্ত সময়।
ছাগলের পরিচর্যা
- প্রতিদিন দুপুরে ছাগলকে প্রয়োজনমতো টাটকা ও পরিষ্কার পানি পান করাতে হবে।
- ছোবড়া জাতীয় খাবার যেমনÑ ঘাস, লতাপাতা, শুঁটিজাতীয় গাছ দিতে হয়।
- ছাগলকে প্রতি বছর নিয়মিত দুই থেকে তিনবার কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
- ছাগলকে নিয়মিত সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে।
- পচা বা দুর্গন্ধযুক্ত বা নোংরা খাবার না দেয়া।
- বাসস্থান উঁচু, শুকনা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় তৈরি করতে হবে।
- নিয়মিত বাসস্থানের মেঝের মলমূত্র পরিষ্কার করা এবং মেঝেতে চুন ছড়িয়ে দিয়ে জীবাণু সংক্রমণ কমাতে হবে।
- মাঝে মাঝে পরিষ্কার পানি দিয়ে ছাগলের শরীর পরিষ্কার বা গোসল করিয়ে দেয়া।
সুস্থ ছাগলের বৈশিষ্ট্য
- সুস্থ ছাগলের নাড়ীর স্পন্দন প্রতি মিনিটে ৭০-৯০ বার,
- শ্বাস-প্রশ্বাস প্রতি মিনিটে ২৫-৪০ বার এবং তাপমাত্রা ৩৯.৫ সেঃ হওয়া উচিত।
- সুস্থ ছাগল দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে, মাথা সবসময় উঁচু থাকে, নাসারন্ধ থাকবে পরিষ্কার, চামড়া নরম, পশম মসৃন ও চকচকে দেখাবে এবং পায়ু অঞ্চল থাকবে পরিচ্ছন্ন।
ছাগলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা
- ছাগলের খামারে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য নিয়মিত পিপিআর টিকা, কৃমিনাশক ইত্যাদির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়।
- ছাগলের সবচেয়ে মারাত্ক রোগ পি.পি.আর এবং গোটপক্সের ভেক্সিন জন্মের ৩ মাস পরে দিতে হয়।
- বছরে দু’বার বর্ষার প্রারম্ভে (এপ্রিল-মে) কৃমিনাশক এবং বর্ষার শেষে (অক্টোবর-নভেম্বর) ব্রডসেপ্রকট্রাম ক্রিমিনাশক যেমন: নেমাফেক্স, রেলনেক্স ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে।
- তাছাড়া যকৃত কৃমির জন্য ফেসিনেক্স, ডোভাইন ইত্যাদি ব্যবহার করা প্রয়োজন। কোন ছাগলের চর্মরোগ দেখা দিলে তা ফার্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যে কোন নূতন ছাগল খামারে প্রবেশ করানোর আগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ অন্যস্থানে রেখে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
- খামারের সকল ছাগলকে ১৫-৩০ দিন পর পর ০.৫% মেলাথায়ন দ্রবণে ডিপিং করানো (চুবানো) উচিত।
- তাছাড়া ম্যাসটাইটিসসহ অন্যান্য সংক্রমক রোগের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া বাঞ্ছনীয়।
ছাগলের রোগ – ব্যাধি
- ছাগলের বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি হয়ে থাকে। তবে গবাদিপশু অপেক্ষা ছাগলের রোগ-ব্যাধি কম হয়ে থাকে।
- বাংলাদেশে ছাগলের বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এর মধ্যে কৃমি, উকুন, নিউমোনিয়া, পাতলা পায়খানা,
- আমাশয়, পেট ফাঁপা, মূত্রনালিতে পাথর, পিপিআর, গোটপক্স, চর্মরোগ (মেইজ), ছাগলের ক্ষুরা রোগ,
- চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস এবং একথাইমা রোগ অন্যতম।
ছাগলের পিপিআর রোগের লক্ষণগুলো
- এটি ভাইরাসঘটিত একটি রোগ, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম দেখা যায়।
- হঠাৎ ছাগলের শরীরের তাপ বেড়ে যায় (১০৪ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি) ও ক্ষুধামন্দা দেখা যায় এবং কাশতে থাকে।
- মুখের লালা ঝিল্লিতে রক্ত জমে লাল দেখা যায় এবং
- নাক দিয়ে সর্দি ও পানি ঝরে। নাকের ছিদ্রের পর্দায় ঘা দেখা যায় ও চোখে পিচুটি হয়, অনেক সময় চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যায়।
- রোগ শুরুর ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ছাগল মারা যায়।
ছাগলের পিপিআর রোগের প্রতিরোধ
- আক্রান্ত ছাগলকে বের করবেন না।
- ছাগল সুস্থ অবস্থায় টিকা দিয়ে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ছয় মাস বয়সের ছাগলকে ১সিসি টিকা চামড়ার নিচে প্রয়োগ করতে হবে।
ছাগলের গোটপক্স রোগের লক্ষণগুলো
- মুখের চারপাশে, মুখগহ্বরে, কানে, গলদেশে, দুধের বাঁটে এবং পায়ুপথে বসন্তের গুটি দেখা যায়।
- দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, কিছু খায় না, জাবর কাটে না এবং ছাগলের পাতলা পায়খানা হয়।
ছাগলের ওলান প্রদাহ বা ম্যাসটাইটিস রোগের লক্ষণ
- গায়েজ্বর থাকে, ওলান ভীষণ গরম ও শক্ত হয়, বাটসহ ফুলে ওঠে । বাট দিয়ে কখনও পাতলা আবার জমাট বাঁধা রক্ত মিশ্রিত দুধ আসে ।
- এক পর্যায়ে বাঁটগুলো অত্যন্ত শক্ত হয়ে যায় এবং দুধ বের হয় না ।
- অত্যধিক মারাক্তক অবস্থায় আক্রান্ত বাটে পচন ধরে ও এক পর্যায়ে বাট পচে খসে পড়ে
ছাগলের ওলান প্রদাহ বা ম্যাসটাইটিস রোগের প্রতিরোধ
- পরিষ্কারপরিচ্চন্ন স্থানে রাখতে হবে। বাটে সময় যাতে ক্ষত সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে হবে ।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল সুস্থ রাখতে যেসব ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা আবশ্যক
- কর্মসূচি অনুযায়ী টিকা প্রদান
- যেসব ছাগীকে পূর্বে পিপিআর, গোটপক্স, একথাইমা, ব্রুসেলোসিস ইত্যাদি টিকা দেয়া হয়নি তাদেরকে গর্ভের ৫ম মাসে উক্ত ভ্যাকসিনগুলি দিতে হবে। বাচ্চার বয়স যখন ৫ মাস তখন তাকে পিপিআর ভ্যাকসিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দিতে হবে।
- কৃমিনাশক ঔষধ প্রয়োগ
- সকল ছাগলকে নির্ধারিত মাত্রায় বছরে দুইবার কৃমিনাশক ঔষধ প্রদান করতে হবে।
ছাগলের টিকা প্রদান কর্মসূচি
টিকার নাম | মাত্রা | প্রয়োগ পদ্ধতি |
পিপিআর | ১ মি.লি. | চামড়ার নিচে ইনজেকশন |
ক্ষুরা রোগ | ২ মি.লি. | চামড়ার নিচে ইনজেকশন |
তরকা | ১ মি.লি. | চামড়ার নিচে ইনজেকশন |
ছাগলের খামারে নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ অনুসরণ করতে হবে –
১। ছাগলের ঘর ও এর চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা।
২। ছাগলকে সময়মতো টিকা দেয়াও কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো।
৩। ছাগলকে তাজা খাদ্য খেতে দেয়া।
৪। ছাগলকে সুষম খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা।
৫। ছাগলের ঘরের মেঝে শুষ্ক রাখার ব্যবস্থা করা।
৬। ছাগলের বিষ্ঠা খামার থেকে দূরে সংরক্ষণ করা।
৭। অসুস্থ ছাগলকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণ করা ও চিকিৎসা দেওয়া।
৮। প্রয়োজনে ছাগলের মলমূত্র পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
৯। মৃত ছাগলকে মাটির নিচে চাপা দেওয়া।
অনুচ্ছেদটির লেখক
ডাঃ মোঃ গাউসুর রহমান
ই-মেইলঃ [email protected]
এ ছাড়া গাভি পালন নিয়ে আগ্রহ থাকলে আমাদের বাস্তব জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা উন্নত জাতের গাভির খামার ব্যবস্থাপনা গাভি পালন লেখাটি পড়লে উপকৃত হবেন।
Khandakar Md Noornobi
December 5, 2022 at 10:04 pmSo nice good job 👍
এগ্রোবিডি২৪
January 9, 2023 at 4:26 pmধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।
Md Nasim Uddin
July 4, 2020 at 7:35 pmThanks a for this informative articl. I think this will be helpfull for goat farmers and who cultivated commercially. Especially Marginal level farmers will benefit, if these are well communicated to the people at the village level
এগ্রোবিডি২৪
July 4, 2020 at 9:27 pmWe are very thankful for your appreciation. Keep in touch for more information like this
Md Nasim Uddin
July 4, 2020 at 7:34 pmThanks a for this informativearticl. I think this will be helpfull for goat farmers and who cultivated commercially. Especially Marginal level farmers will benefit, if these are well communicated to the people at the village level
MD.Liton
July 1, 2020 at 5:48 pmInformative
Shima Hossain
June 30, 2020 at 10:19 pmThanks for the valuableinformatio,,,
SOYEB
June 30, 2020 at 12:02 pmVery informative discussion….It will help all enterpreneurs to develop their business…We want more information from Dr. Alal Vai ❤️??
এগ্রোবিডি২৪
June 30, 2020 at 1:13 pmআমরাও আশা করি স্যার আমাদের মাঝে আরো লিখা নিয়ে আসবেন ।
Abu Sad Md. Sozib Mahmud
June 30, 2020 at 6:38 amঅনেক তথ্যবহুল আলোচনা। অত্যন্ত গোছালো উপস্থাপ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আশা রাখি এমন সুন্দর একটা আলোচনা আমাদের সবারই কাজে লাগবে বিশেষকরে নতুন খামারীদের জন্য।
Thanks vai for your informative and precise article
Zaman
June 30, 2020 at 12:58 amthanks for including all the information required,,,, it must help the farmers,,,
Saidur Rahman Sarker
June 30, 2020 at 12:21 amসুন্দর ও তথ্যবহুল লেখনীর জন্য ধন্যবাদ…
Md Masum Ali Bishal
June 30, 2020 at 12:01 amVery interesting and informative article
MD Daraj Prodhan
June 29, 2020 at 9:51 pmThanks #vai to let us know such Important information ?
Md. Belal Hossain
June 29, 2020 at 8:37 pmব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের এই গবেষণা মূলক লেখাটি খুবই উপকারে আসবে যারা ছাগল পালনে আগ্রহী হবে। ধন্যবাদ লেখককে।
Md. Rahibul islam
June 29, 2020 at 8:30 pmতথ্যবহুল আলোচনা এবং খামারিদের জন্য অনেক উপকারী… ধন্যবাদ…
Zahid shah
June 29, 2020 at 7:40 pmInformative
Zahid
June 29, 2020 at 7:21 pmInformative
Mehadi hasan
June 29, 2020 at 6:44 pmNice and informative
Md. Shariar Sarkar
June 29, 2020 at 7:06 pmThank you for your compliment. it helps to work more 🙂
মেমোরী জাহান
June 30, 2020 at 12:32 amনতুন খামারিদের জন্য খুবই তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ লেখক কে।
ষাঁড় গরুর খামার পদ্ধতি নিয়ে এইরকম তথ্যবহুল পোস্ট চাই।
Md. Shariar Sarkar
June 30, 2020 at 1:43 pmআশা করি অচিরেই ষাঁড় নিয়েও পোস্ট আসবে আমাদের সাইট এ । সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ …