Monday, 21 April, 2025

সর্বাধিক পঠিত

গোলমরিচ চাষে কৃষকের সফলতা


শতভাগ আমদানি নির্ভর গোলমরিচ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকরা। গোলমরিচ চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানান তারা।

এবছর জেলার মীরসরাই ও ফটিকছড়ির দু’শ মরিচচাষি অনাবাদী ৬০ একর পাহাড়ি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষ করেছেন। ২০১৭ সালে চারা রোপণের ৩ বছর পর ২০২০ সালের শেষের দিকে ব্যাপক ফলন পেতে শুরু করেছে কৃষক।

এ সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গোলমরিচ চাষ শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার চাষিরা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এর ফলে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে গোলমরিচ রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।

আরো পড়ুন
কক্সবাজার উপকূলে ১০ হাজারের বেশি কচ্ছপের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত

চলতি মৌসুমে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলে কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও বাচ্চা প্রজননে তৎপরতা বেড়েছে। বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা Read more

হালদা নদীতে মা মাছের আগমন, ডিম আহরণে প্রস্তুতি তুঙ্গে
হালদার মা মাছ

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুরুতে এই নদীতে ডিম Read more

গোলমরিচ চাষিরা জানিয়েছেন, রোপণের তিন বছরের মধ্যে ফলন দেওয়া শুরু হয়। পঞ্চম বছর থেকে ফলন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছে। যা এক টানা ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ফলন হয়। প্রতিটি খুঁটি (গাছ খুঁটির সাথে বেড়ে ওঠে) থেকে বছরে কমপক্ষে চার কেজি কাঁচা গোলমরিচ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বর্তমানে বছরে প্রায় ১ হাজার ৫শ মেট্রিক টন গোলমরিচ আমদানি করা হয়। কেজি প্রতি গড়ে ৫শ টাকা দরে এ খাতে প্রতি বছর ৭৫ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।

0 comments on “গোলমরিচ চাষে কৃষকের সফলতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ