আইসিএআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হুইট অ্যান্ড বার্লি রিসার্চের (আইআইডব্লিউবিআর) প্রাক্কলন অনুযায়ী, অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এ মৌসুমে ১১ কোটি ২০ লাখ টনেরও বেশি গম উৎপাদন হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এবার ভারতে গত মৌসুমের তুলনায় অন্তত ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ বেড়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় আবাদের হার সবচেয়ে বেশি।
গত বছরই বিশেষজ্ঞরা ভারতে ১১ কোটি ২০ লাখ টন গম উৎপাদনের প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু ওই বছর অতিবৃষ্টি ও মার্চে ভয়াবহ দাবদাহ সব ধরনের গম উৎপাদনে বিপর্যয় ডেকে আনে। মোট উৎপাদন ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার টনে নেমে যায়। এর আগের মৌসুমে দেশটিতে ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার টন উৎপাদন হয়েছিল। সে হিসাবে উৎপাদন ২৭ লাখ ৫০ হাজার টন কমেছিল।
আইআইডব্লিউবিআরের পরিচালক জ্ঞানেন্দ্র সিং বলেন, গত মৌসুমে কমলেও এবার আমরা আশাবাদী। মৌসুম শেষে গম উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমাদের প্রাক্কলন ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, উৎপাদন ১১ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়াতে পারে।
উৎপাদন বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ বছর ভারতে প্রায় ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে গম আবাদ বেড়েছে। মোট আবাদ পৌঁছতে পারে ৩ কোটি ১৫ হেক্টরে। গত বছর আবাদ করা হয়েছিল তিন কোটি হেক্টরে। এবার শীত মৌসুম প্রলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের গম উৎপাদন বেল্টে শীতের প্রকোপ বেশি থাকবে, যা শস্যটির উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।