ভোলা জেলায় প্রাণীর চিকিৎসা, টিকাদান ও পুষ্টিসেবা নিশ্চিত করতে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে পদ রয়েছে ৮৫টি, যার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য। ১৮ জন চিকিৎসকের (বিসিএস কর্মকর্তা) মধ্যে আছেন মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে সাতটি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেই, গবাদিপশুর চিকিৎসা–সংকট ।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ভোলায় যাঁরা নিয়োগ পান, তাঁরা তদবির করে অন্যত্র চলে যান। বরিশাল বিভাগে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) পাস করা শিক্ষার্থী ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সংখ্যা কম।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভোলায় গরু রয়েছে প্রায় ছয় লাখ। এ ছাড়া ১ লাখ ২৪ হাজার মহিষ, ২ লাখ ৬৯ হাজার ছাগল ও ২১ হাজার ভেড়া রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১১টি পদ রয়েছে—২ জন বিসিএস কর্মকর্তা (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন), ৫ জন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিপ্লোমা), ১ জন কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তা, ১ জন অফিস সহকারী, ১ জন ড্রেসার ও ১ জন অফিস সহায়ক। ৭ উপজেলায় ১৪ জন কর্মকর্তা কাম চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে কেবল সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দুজন ভেটেরিনারি সার্জন আছেন। ৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদে আছেন ৪৪ জন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে কর্মকর্তার পদ চারটি। আছেন শুধু জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও)। এখানে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও হিসাবরক্ষকের পদ শূন্য।
গবাদিপশুর খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাতুড়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে পশু ও হাঁস-মুরগির চিকিৎসা করেন।