সৌদি আরব, মরক্কো এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৯০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মধ্যে:
মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি (Triple Super Phosphate) সার আমদানি করা হবে, যার ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম ৪১৫ মার্কিন ডলার।
সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া এবং কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
এই পুরো প্রক্রিয়ার মোট ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত রাখা এবং সারের মজুত ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা। বিশেষ করে, সারের যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করলে কৃষকদের উৎপাদন ব্যাহত হবে না এবং তারা নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক পরিমাণে সার ব্যবহার করতে পারবেন, যা ভালো ফসল উৎপাদনে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, বৈঠকে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মজুতের ওপর নজর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য বজায় থাকে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সরকার সার আমদানির আরও দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা দেশের কৃষি ক্ষেত্রে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করবে। এর মধ্যে:
সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সার্বিক) থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ২২ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতি টনের সারের দাম পড়বে ৩৫৬.১৭ মার্কিন ডলার।
কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি টনের সারের দাম হবে ৩৪৩.৩৭৫ মার্কিন ডলার।
এই পদক্ষেপগুলোর মূল লক্ষ্য হলো কৃষি উৎপাদনে সারের পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের চাহিদা মেটানো, যাতে সঠিক সময়ে কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ করা যায়।