কৃষিপণ্যে মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়িয়াদের দৌড়াত্য বাড়ছে। কিন্তু তারা ছাড়াও গ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার পথে কৃষিপণ্যের ট্রাকে চাঁদাবাজি হয়। যার কারণে রাজধানীতে এসে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। দেশে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাই কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আসা কৃষিপণ্যের ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আজ বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী। এতে অংশ নেবার পর সাংবাদিকদের কৃষিপণ্যের ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা প্রশাসকদের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার কথা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকদের সাহায্য চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী
সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের দেয়া নির্দেশ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
এর উত্তরে কৃষিমন্ত্রী জানান, শুরুতেই বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে বাংলাদেশ সব সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল।
দেশের জলবায়ু কৃষি উৎপাদনের জন্য উপযোগী।
তিনি আধুনিক কৃষিতে পৌছাতে না পারাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন সারা পৃথিবীতেই মধ্যস্বত্বভোগী আছে।
তবে এর বাহিরে আরও কিছু অপ্রত্যাশিত বিষয় আছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক বা গাড়িতে তাদের এক্সট্রা খরচ করতে হয় বলে জানান মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, এই চাদাবাজি কীভাবে কমানো যায় তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
প্রত্যেক ডিসিরাই বলেছেন তারা দায়িত্ব নেবেন জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান যে কেবিনেট সচিব এর সাথে তার কথা হয়েছে।
তারা একটি স্টাডি মন্ত্রনালয়ের সাথে করাবেন।
যাতে ট্রাকের খরচ বা কোথাও চাঁদাবাজির শিকার হওয়া ট্রাকের কাছ থেকে কোথায় কত টাকা দেয়া হয়েছে সেটা বের করা হবে।
এরপর জাতীয় পর্যায়ে একটি ব্যবস্থা নিয়ে এটি বন্ধ করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়টি সম্মেলনে তুলে ধরে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও জানান বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী জানান যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যাওয়ার জন্য ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট করা হয়।
তাই একটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট দেবে বলেও জানান তিনি।
পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী ২ একর জমি দেবার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন সেখানে ল্যাবরেটরি এবং প্যাকিং হাউজ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন পণ্য বিদেশে নেয়া যেতে পারে।
তিনি আরও জানান যে নেদারল্যান্ড এর সাথে সরকারের একটি সমঝোতা হচ্ছে।
তারা টেকনোলজিক্যাল সাপোর্ট দেবার সাথে সাথে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।