ডিজিটাল বাংলাদেশে আগামী দিনের কৃষি হবে প্রযুক্তি নির্ভর। ভবিষ্যতের কৃষি হবে ইন্টারনেট অব থিংস বা আইওটি নির্ভর। সে ক্ষেত্রে যোগ হল নতুন একটি ধাপ হিসেবে এটা সংযুক্ত হল।
তরুণদের এই কৃষিতে আগ্রহী করতে গঠিত হলো নতুন এক নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক এর নাম দেয়া হয়েছে স্মার্ট অ্যাগ্রো–টেকনোলজি ইনোভেশন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক। সংক্ষেপে সায়ান নামে পরিচিত। কৃষিক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকায় সায়ান এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় গত মাসে।
স্মার্ট অ্যাগ্রো–টেকনোলজি ইনোভেশন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক-সায়ান
গত ২৬ আগস্ট সায়ান আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ‘তরুণের মেধা ও শক্তি গড়বে সবুজ পৃথিবী’—এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এর যাত্রা শুরু। এই নেটওয়ার্কে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কৃষিসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্ত থাকবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তরুণদের মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণ করবে এই নেটওয়ার্ক।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল আলম সায়ানের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি জানান, তরুণদের উদ্ভাবনকে কৃষিতে নিয়ে যাবার জন্যই এই উদ্যোগ। এই নেটওয়ার্ক উদ্ভাবন কাজে লাগাতে, গবেষণায় অর্থায়ন ও পরামর্শ সহায়তা দিতে কাজ করবে বলে তিনি জানান।’
তিনি আরও বলেন যে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আধুনিক কৃষি সম্পর্ক জানাতে চান। একই সাথে তারা গ্রামের তরুণদেরও আধুনিক কৃষিতে যুক্ত করতে চান বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটি ও অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়াম (এএসএমসি), যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের আওতায় ২৬ আগস্ট এটির উদ্বোধন করা হয়।
অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা এ কে এম জাকির হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের সহযোগী ডিন জর্জ ছাপার, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের এএসএমসির পরিচালক প্রশান্ত কে কালিতা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লুৎফুল হাসান অনুষ্ঠানটির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সায়ানের উপদেষ্টা ও এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস।
অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম জানান যে, একটি উদ্ভাবনী ধারণা জমা দেওয়ার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে খুব শিগগিরই।