পবিত্র ঈদ উল আযহা আর মাত্র ক’দিন পরেই, মুসলমান ধর্মের পবিত্র কোরবানির ঈদ। কুরবানির জন্য সুস্থ ও উপযুক্ত গরু চেনার উপায় কি? বাজার থেকে গরু কিনে নিয়ে আসার পর দেখা যায় গরু কিছুই খেতে চায় না। আবার কিছু ক্ষেত্রে গরু মারাও যায়। আবার অনেক গরু ফুলে থাকলেও আসলে পরে বোঝা যায় ওজন বৃদ্ধি করার জন্য রাসায়নিক বা ওষুধ দেয়া হয়েছিল। যা গরুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
সুস্থ ও উপযুক্ত গরু চেনার উপায় –
গবাদিপশু মোটা ও তাজা করার জন্য অসৎ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ঔষধ ও রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকে। রাসায়নিক বা ওষুধ দেয়া গরুর মাংসপেশি থেকে শুরু শরীরের অন্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে থাকে। শরীরে পানি জমায় বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে সেখানে গর্ত হয়ে দেবে যাবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেবে।
ঈদের আগে এসব গরু অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বাড়ানো হয়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে এ সব গরু চলাফেরা বা স্বাভাবিক নাড়াচাড়া করতে পারেনা। শান্ত থাকে।
রাসায়নিকযুক্ত গরু ভীষণ ক্লান্ত থাকবে এবং ঝিমাবে। সুস্থ গরুর গতিবিধি চটপটে থাকে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে প্রতিক্রিয়া দেখায়। কান ও লেজ দিয়ে মশা মাছি তাড়ায়।
রাসায়নিক বা ওষুধ খাওয়ানো গরুর শরীরের অঙ্গগুলো নষ্ট হতে শুরু করায় এগুলো শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মনে হবে যেন হাঁপাচ্ছে।
অতিরিক্ত স্টেরয়েড দেয়া গরুর মুখ থেকে প্রতিনিয়ত লালা ঝরবে। কিছু খেতে চাইবে না। সুস্থ গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে সেটা টেনে খাবে। না হলে জাবর কাটবে।
সুস্থ গরুর নাকের উপরের অংশটা ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। অন্যদিকে অসুস্থ গরুর নাক থাকবে শুকনা।
সুস্থ গরুর রানের মাংস শক্ত থাকবে। যেখানে রাসায়নিক দেয়া গরুর পা হবে নরম থলথলে।
গরুর শরীরে হাত দিয়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হলে বুঝতে হবে গরুটি অসুস্থ।
সুস্থ গরুর চামড়ার ওপর দিয়ে কয়েকটা পাঁজরের হাড় বোঝা যাবে।
গরুর শরীরের রঙ উজ্জ্বল থাকবে। গরুর পিঠের কুজ মোটা, টানটান ও দাগমুক্ত হবে।
সুস্থ ও উপযুক্ত গরু স্বাভাবিক ভাবে না খেলে জাবর কাটতেই থাকবে।