বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ সর্প দংশনের ক্ষেত্রে সাপ থাকে নির্বিষ। বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর অন্তত পাঁচ লাখ আশি হাজার মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন, এবং অন্তত ছয় হাজার মানুষ মারা যান।
সাপে কাটার ঘটনা গ্রামাঞ্চলে, এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশি ঘটে থাকে। স্থলভূমিতে থাকা সাপ পায়ে বেশি দংশন করে।
কিভাবে চিনবেন বিষাক্ত সাপ?
বিষাক্ত শাপ চেনার উপায় গুলো নিচে একে একে তুলে ধার হলো ।
বিষাক্ত সাপের চোখের মণি লম্বাটে। বিষাক্ত সাপের বিষদাঁত ও বিষগ্রন্থি আছে।
বিষদাঁত লম্বাটে এবং এর মধ্যে ইনজেকশনের সুঁইয়ের মতো নালী থাকে যা সাপের চোয়ালে অবস্থিত বিষগ্রন্থির সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। বিষদাঁতের সংখ্যা দুইটি।
স্বভাব গত ভাবে বিষদাঁত দিয়ে দংশনের মাধ্যমে বিষধর সাপ তার বিষ প্রাণিদেহে ঢুকিয়ে দেয়।
যে ক’ধরনের বিষাক্ত সাপ রয়েছে, তাদের শরীরী গড়ন মোটার দিকে। চন্দ্রবোড়া বা কিংগ কোবরার চেহারা বেশ মোটাসোটা। কেউটে, গোখরোর ক্ষেত্রে চেহারা লাগবে না, ফনাই যথেষ্ট।
সাপটির চোখের মণি দেখুন নজর করে। বিষাক্ত সাপের মণি অনেকটা বেড়ালের মতো। লম্বাটে, দু’পাশে তীক্ষ্ণ ফলার মতো।
বিষহীন সাপের চোখের মনি গোলাকার। এদের দাঁত আছে কিন্তু বিষদাঁত ও বিষগ্রন্থি নেই।
বাংলাদেশের সাপ আমাদের দেশে প্রায় ৮২ প্রজাতির সাপ আছে। এর মধ্যে ২৮ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্ব অনুসারে এদের ৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
poshupakhi
October 14, 2021 at 12:40 pmবিষাক্ত সাপ চেনার অন্যতম উপায় হল বিষদাঁত। এদের ছোবল মারার স্বভাব। এছাড়াও আরও বৈশিষ্ট্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন।