নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার রামানন্দ বনকুড়ি গ্রামে জমিতে আগাছা-নাশক ছিটিয়ে ধান নষ্ট করা হয়েছে। ঐ কৃষকের প্রায় ৩৫ শতাংশ জমির ধানগাছের সকল চারা নষ্ট করে দিয়েছে তার প্রতিপক্ষ।
বুধবার সকালে ঐ স্থানে আগাছা-নাশক ছিটিয়ে ধান নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কৃষক আজ দুপুরে এই ঘটনার জেরে সিংড়া আমলি আদালতে মামলা করেছেন। সাথে ওই কৃষক ও তাঁর স্ত্রীকেও শারিরীক নির্যাতন ও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোজাম্মেল হক এর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সরকারের কাছ থেকে ২০০৮ সালে বনকুড়ি মৌজার ২০৫ নম্বর দাগে ৩৫ শতাংম জমি দানসূত্রে পেয়েছেন। এ বছর তিনি লাভের আশায় আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন ওই জমিতে ।
তার ভাষ্যমতে প্রতিবেশী আবদুল জলিলের বখাটে ছেলে মো. সেলিম আজ সকালে হঠাৎ লোকজন নিয়ে তাঁর ধানের জমিতে জোর পূর্বক প্রবেশ করেন। এসময় তাঁরা জমির রোপণ হওয়া সকল ধানের চারা টেনে উপড়ে ফেলেন।
শুধু চারা উপড়ে ফেলেই ক্ষান্ত হননি তারা, এরপর সেখানে আগাছানাশকও ছিটিয়ে দিয়েছেন। এ সময় মোজাম্মেল হক এবং তাঁর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম তাদের বাধা দিতে চেষ্টা করেন। বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করে সেলিম ও তার লোকজন।
প্রতিবেশির জমির ধানগাছের চারা নষ্ট করে দিয়েছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় মো: সেলিমের সাথে। মো. সেলিম জানান, জমিটি আগে তাদের দখলে ছিল, তারা চাষ করতেন।
কিন্তু এবার মোজাম্মেল হক জমিটি দখল করে নেন। তারপর তাতে ধান রোপণ করেছেন। এ কারণে তিনি ও তার লোকজন জমিতে আগাছানাশক ছিটিয়ে জমিটি পরিষ্কার করেছেন। ওই জমিতে তারা ধান রোপণ করবেন বলে জানান মো. সেলিম।
সিংড়া থানার ওসি জানান, এ ব্যাপারে থানায় তিনি কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবার কথা বলেন তিনি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, ভূমি অফিসের দায়িত্ব সরকারি জমি বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত। যাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, জমি রক্ষা করার দায়িত্বও তাঁর। প্রয়োজনে তিনি আদালতের সাহায্য নিতে পারেন।