আউশ চাষে গত ২০ বছরে রেকর্ড
গত ২০ বছরে যে পরিমাণ আবাদ হয়েছে তার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে বলে দাবী রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। গত শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তরের রংপুর অফিস। উল্লেখ্য জমিতে আউশ ধানের আবাদের কথাই বলেছে অধিদপ্তর।আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে এ অঞ্চলে গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আউশ আবাদ হয়েছে ২০২০-২১ মরসুমে। রেকর্ড পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অন্তত ৪ হাজার হেক্টর বেশি বা বলা যায় ৭ শতাংশ বেশি।
জানা যায়, ২০০০-০১ মরসুমে এ অঞ্চলে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হলেও এর পরবর্তী বছরগুলোতে আউশ আবাদের এলাকা কমতে থাকে। যা ২০০৯-১০ সালে অনেক কমে যায়, সে অনুসারে এবার প্রায় ৫ গুণ বেশি আবাদ হয়েছে। আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে আউশের আবাদের সাথে সাথে ফলনও বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ২০১৭-১৮ মরসুমে যেখানে ২.৯৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছিল সেখানে গত মরসুমে ছিল হেক্টর প্রতি ৩.০৪ মেট্রিক টন। এক্ষেত্রে এবছর লক্ষ্যমাত্রা ৩.০৭ হলে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলা হতে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন চাল চলতি আউশ মরসুমে পাওয়া যাবে। এটি লক্ষ্যমা্ত্রার চেয়ে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন বেশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, এ অঞ্চলের বেশিরভাগ জমিই বোরো-পতিত-রোপা আমন এ্ই শস্য সার্কেলের আওতায়। আর এই সার্কেলের জমিকে আউশভিত্তিক জমির আওতায় আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে। এর ফলে আউশের আবাদ ও ফলন বাড়বে এবং শস্যের নিবিড়তার বিষয়টি ভাল থাকবে।তার ফল এবার আউশের বাম্পার ফলন।