বর্তমানে যত দিন এগোচ্ছে ততই বিশেষত ভেষজ ওষধি বৃক্ষের চাহিদা বাড়ছে প্রচুর। ওষধি গাছ বিভিন্ন কবিরাজি, আয়ুর্বেদিক ওষধি তৈরিতে ভীষণ ভাবে কাজে লাগে। এমনই এক ওষধি গাছ এর নাম অশ্বগন্ধা। এর বহুমূল্য এখনকার চাষিদের এই চাষে ভীষণ ভাবে আগ্রহী করে তুলেছে।
প্রধানত শিকড় এর জন্য এই অশ্বগন্ধা গাছের চাষ করা হয়। কৃষকরাও স্বল্প বিনিয়োগে এই চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে অশ্বগন্ধা চাষ করা হয়।
কখন গাছ লাগানো হয়
অশ্বগন্ধা গাছের বীজ লাগানোর জন্য উত্তম হল নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এই গাছের জন্ম হয় মূলত বীজ থেকেই ।
বীজের হার কেমন
যদি এক বিঘায় চাষ করা হয় তাহলে প্রায় দেড় কিলোগ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। হালকা, ছোট আকারের এই বীজ সমূহের অঙ্কুরোদ্গম হার কম। জমিতে বীজ একটু বেশি পরিমাণে ছিটিয়ে নেওয়া ভালো কারণ কিছু বীজ আবার নষ্ট হয়।
কখন চাষ করবেন
প্রথমে জমি চাষ দিতে হবে যেন জমি আগাছা মুক্ত থাকে । তারপর জমি বানিয়ে নিতে মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে। বীজ পোঁতার আগেই জমিতে জল সেচ দিতে হবে।
কোন কারণে পোকা যাতে জমি ও ক্ষেতের ক্ষতি করতে না পারে তাই জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। অশ্বগন্ধার বীজ জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। তবে সারি করে অশ্বগন্ধার বীজ পোঁতা হলে ভালো ফলন হয়।
কিভাবে পরিচর্যা করবেন
শুরু থেকেই আগাছা নিয়ন্ত্রণ প্রথম থেকেই করতে হবে। ভালো ভাবে নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে। মাটিতে মাঝেমধ্যেই সেচ দিতে হবে যেন জমির রস ধরে রাখা যায় ।
পোকার নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবেন
রোগপোকার আক্রমণ অশ্বগন্ধার চাষে তেমন দেখা যায় না। শীতকালে মাঝে মাঝে অশ্বগন্ধা গাছের পাতায় বিভিন্ন রোগের আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে তরল কীটনাশক স্প্রে করা যায়।
কখন ফসল তোলা হবে
ফসল তোলার জন্য এপ্রিল মাস উত্তম। এই মাসে গাছের ফল পেকে যায়। এই মাসে মাটির নিচের শিকড়গুলি পুষ্ট হয়। তবে তোলার আগে একটা জলসেচ দিয়ে মাটি নরম করে নিতে হয়।
এর পর গাছ উপড়ে নিয়ে ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। সাধারণ ভাবে প্রতি বিঘায় অন্তত ৩০ কেজি বীজ ফলন পাওয়া যায়। এ গাছ থেকে শিকড় পাওয়া যাবে অন্তত ১৫ কুইন্টাল।
ভোলানাথ halde
November 16, 2022 at 11:52 amYes