মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। একই ভাবে সৌন্দর্যের পাগল আমাদের দেশের মানুষ। যার কারণে আমাদের দেশ ফুলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করে অথচ নাম প্রায় জানেনা বল্লেই চলে এমন একটি ফুল হল চন্দ্রমল্লিকা।
এমনকি এই ফুল চাষে ভাগ্য ফেরানো অনেক লোকও জানেনা এর বাংলা নাম। অনেকে একে ক্রিসেন্থাম ফুল বলে থাকলে ও এর ইংরেজি নাম হল ক্রিসেন্থিমাম (Chrysanthemum)।
ক্রিসেন্থিমাম নামকরণেরও একটি কারণ রয়েছে। বড়দিন বা খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিস্টমাসের সময় এই ফুল ফোটে।
গ্রীক শব্দ ‘ক্রিসস’ অর্থ সোনা আর ‘থিমাম’ এর অর্থ হলো ফুল, দুটো যোগ করলে দাড়ায় সোনার ফুল। এছাড়াও এ ফুলের আরেকটি নাম ‘সেবতী, চন্দ্রমূখী’।ছাদে বাগান করতে পড়ুন ছাদ কৃষি।
চন্দ্রমল্লিকা অতি পরিচিত ও বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদকৃত জনপ্রিয় ফুল। এই ফুলের অনেকগুলো প্রজাতির মধ্যে ‘জলদি, জাত, মেঘামি, ঊনা, চন্দমা, স্নোবল, সোনার বাংলা, রোজডে, পুইসা পকেট ইত্যাদি।বাংলাদেশে বিশেষভাবে পরিচিত তিন রঙা চন্দ্রমল্লিকা, তোর চন্দ্রমল্লিকা, মালীর চন্দ্রমল্লিকা এই তিনটি প্রজাতি।
এ গাছ আকারে ৫০ থেকে ১৫০ সেমি লম্বা হয়। এর যে ফুলগুলো বড়া আকারের হয় সেগুলো হয় সাদা অথবা হলুদ রঙের। এর আদি উৎস নিয়ে বলা হয়ে থাকে যে জাপান বা চীনদেশে এর জন্ম হয়েছে। শরৎ এর রাণী হিসেবে পরিচিত এ ফুলের রয়েছে নানা রঙ এর বাহার ও গঠন।
চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বাণিজ্যমূ্ল্য কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে প্রথম সারির দিকে। সাধারনত অক্টোবরে এই ফুলের কুড়ির দেখা পাওয়া যায়। নভেম্বরে ফোটে ফুল, যা প্রায় ২০-২৫ দিন তাজা থাকে। আজকাল ভালোবাসা দিবসে কিন্তু েএই ফুলের ব্যবহার হয় প্রচুর। তাছাড়া বাসা বাড়িতে সৌখিন মানুষের পছন্দের তালিকায় একদম উপরের স্থানে স্থান করে নিয়েছে চন্দ্রমল্লিকা ফুল। মূলত লম্বা ডাটাসহ একে খুব সহজেই ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখা যায়।
বিয়ে কিংবা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানই হোক, সভা-সমাবেশ এর মঞ্চ ডেকোরেশনের কথা বলা হোক অথবা স্কুল কলেজের প্রধান অতিথির টেবিলের কথা বলা হোক সেখানে কিন্তু সবচেয়ে মানানসই হচ্ছে এই ক্রিসেন্থিমাম বা চন্দ্রমল্লিকা ফুল। একরাশ গোলাপের শুভেচ্ছা বলা হলেও চন্দ্রমল্লিকার উপস্থিতি কিন্তু খুব বেশি পরিমানে।