নদীর পানি বাড়ছে প্রতিনিয়ত যার প্রভাব পড়েছে আমন ধানের জমিতে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান।
রোববার (১৯ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর ও রাধাপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি বাঁধের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাঁধ রক্ষার জন্য সাড়ে ৪ হাজার বস্তা দেওয়া হয়েছে মাটি ফেলার জন্য। এদিন কুশিয়ারা নদীরতে ৮.২৫ মিটার ও খোয়াই নদীর পানি ৮ মিটার প্রবাহিত হয়েছে। খোয়াই নদীতে একদিনে তিন মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুশিয়ারা নদীতে প্রতি ৩ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার হবিগঞ্জ শহরে ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। ১ হাজার ১০০ পরিবার পানিবন্দি পরিবার গণনায় এসেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩০ টন চাল ও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভরাপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ জানিয়েছেন, বৃষ্টি ও বন্যায় জেলার ১৩ হাজার হেক্টর বোনা আমন ও ২ হাজার হেক্টর আউশ এবং ৪০০ হেক্টর সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দ্রুত বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এছাড়া প্রশাসনের হিসেবে পুরো জেলায় বন্যা কবলিত পরিবারের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।