বানিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষের প্রথম সর্ত পূর্বের রাক্ষুসে মাছ নিধন। নার্সারি কিংবা রেনু চাষের পুকুর প্রস্তুতির প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ ধ্বংস করা ।
রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ ধ্বংস করার জন্য যারা ফসটক্সিন ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট নামে বেশি পরিচিত) বহুল ব্যবহার করা হয়। যারা এই গ্যাস ট্যাবলেট ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা করে পোনা ছাড়বেন ।
আজ একজন খামারি ফোন করে জানালেন তিনি ৮ দিন আগে গ্যাস ট্যাবলেট ব্যবহার করেছিলেন তারপর চুনও দিয়েছেন । কিন্তু পোনা ছাড়ার পর প্রায় ১ লক্ষ টাকার মুল্যের কিছু বেশি পোনা মারা গেছে এই বিষাক্ততায় ।
ফসটক্সিন ট্যাবলেট খুবই বিষাক্ত । গুদামে পোকা মাকড় মাড়ার কাজে ব্যবহৃত হয় এই গ্যাস ট্যাবলেট । কিন্তু ইদানীং এটি পুকুরে ব্যাপক আকারে ব্যবহার করা হচ্ছে । পুকুরে থাকা সব ধরনের প্রাণীই এতে মারা যায় ।
গ্যাস ট্যাবলেট বিষক্রিয়া অনেক সময় ৭ দিনের অধিক সময় থেকে যায় ।
কাদা যুক্ত পুকুরে ট্যাবলেট ব্যবহারের পর অনেক সময় গ্যাস ট্যাবলেট কাদার ভিতরে ঢুকে যায়। পরবর্তীতে পানি প্রবেশ করানোর পর কাদা সরে গ্যাস ট্যাবলেট টি পানিতে মিশে পুকুরে আবার নতুন করে বিষক্রিয়া শুরু করে ।
নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা না করে পোনা ছাড়া নিরাপদ নয় ।
কিভাবে পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা করব?
পুকুরে পোনা ছাড়ার ১-২ দিন আগে নিম্নোক্ত ছবির মতো হাপা স্থাপন করে তাতে ১০-১৫ টি সুস্থ মাছের পোনা দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করুন ।
পানিতে ছবির মত মাছ রেখে ব্যাগের এবং পুকুরের তাপমাত্রা ও সাম্যবস্থা করতে হবে।
পোনা মারা না গেলে বুঝতে হবে পানিতে বিষাক্ততা নেই । আর যদি পোনা মারা যায় তাহলে বুঝতে হবে পানির বিষাক্ততা কাটেনি ।
আবার হররা টেনে শতক প্রতি ১ কেজি করে চুন প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং ৩-৫ দিন পর পুনরায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে পোনা ছাড়তে হবে নয়তো শুরুতেই বড় রকমের একটা লস মেনে নিতে হবে ।