কৃষি প্রধান বাংলাদেশে ফলের রাজা বলা হয় আমকে। সেই আমের রয়েছে বিভিন্ন জাত। তবে আমের পরিবারে এবার নতুন এক সদস্য যোগ হয়েছে। এসেছে মিষ্টি গন্ধের নতুন আরেক জাতের আম। মিষ্টি গন্ধযুক্ত বারি আম-১৮ হল এই নতুন জাতের আম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড গতকাল নতুন এ জাতের আমের নিবন্ধনের প্রত্যয়ন দিয়েছে। ই-মেইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বারি) রোববার সন্ধ্যায় নতুন জাতের এ আমের নিবন্ধনের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে বীজ বোর্ড।
ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে নিবন্ধনের কথা
আম নিয়ে গবেষণা শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে যার আরেক নাম আম গবেষণা কেন্দ্র সেখানে গবেষণা শুরু হয়।
কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান।
তিনি জানান, সংকরায়ণের পর প্রথম ফল আসে ২০০৭ সালে।
এরপর থেকে গাছে নিয়মিত ফল আসতে শুরু করে।
দীর্ঘদিন যাবৎ আমটি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
এর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব করা হয় আমটি অবমুক্ত করার।
এরপর গতকাল সন্ধ্যায় নিবন্ধনের প্রত্যয়নপত্র পাবার খবর আসে।
খবরটি ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয় আম গবেষণা কেন্দ্রকে।
মিষ্টি গন্ধে ভরপুর রসাল বারি আম-১৮।
এটি মূলত একটি সংকর জাতের আম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত গোপালভোগের সঙ্গে সংকরায়ন করানো হয় বারি আম-১-এর।
এই সংকরায়ণ ঘটিয়ে সৃষ্টি করা হয় নতুন এ আমের জাত।
সংকরায়ণের সঙ্গে অনেকের মতই যুক্ত আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দীন।
জমির উদ্দীন জানান, বারি উদ্ভাবিত আমগুলোর মধ্যে বারি আম-১৮ সবচেয়ে মিষ্টি হবে।
এ আমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর খুব মিষ্টি একটি গন্ধ রয়েছে।
গড়ে এ আমের ওজন হয়ে থাকে ২৪০ গ্রাম।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এ আমের ৭৫ শতাংশই খাওয়ার জন্য পুরোপুরি যোগ্য।
জমির উদ্দীন আরও বলেন, প্রতিবছরই ফল ধরবে এ জাতের গাছে।
পাকা ফল পাওয়া যাবে জুন মাসেই।
আর আমটি পাওয়া যাবে জুনের শেষ পর্যন্ত।
আম পেকে গেলে হলুদাভ রং ধারণ করে।
সুস্বাদু জাতের গোপালভোগ আমের মৌসুম শুরু হয় মে মাসের শেষের দিক থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
এখন থেকে বাজারে মধ্য মৌসুমি বারি আম-১৮ সুস্বাদু জাতের আমের চাহিদা মেটাবে।
এই আমটি খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করবে এমনটাই তিনি আশা করছেন।