Sunday, 23 February, 2025

সর্বাধিক পঠিত

মালয়েশিয়ায় আলুর রপ্তানি হলেও শংকায় আলু চাষিরা


মালয়েশিয়ায় আলুর রপ্তানি হলেও শংকিত চাষিরা

এবার রংপুরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আলু চাষ হচ্ছে। এই গ্রানুলা আলু আগাম জাতের এবং মালয়েশিয়ায় আলুর রপ্তানি শুরু হয়েছে। কিন্তু তবুও লোকসানের মুখে এই অঞ্চলের কৃষকরা। তাদের আশংকা উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠে আসবে না। মালয়েশিয়ায় আলুর রপ্তানি হলেও চাষিদের শংকা কিন্তু বাড়ছেই।

প্রতি ২৫ শতকে লোকসান ১৬ হাজার টাকা

চাষিদের কথায় জানা যায়, গ্রানুলা জাতের আগাম আলু চাষ করে বিগত বছরগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেয়েছিলেন চাষিরা।

আরো পড়ুন
পাবদা (Ompok pabda) মাছের লাভজনক চাষ পদ্ধতি

পাবদা মাছ (Ompok pabda) বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাছ। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং চাহিদাও বেশি। সঠিকভাবে চাষ করলে Read more

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষে সফলতা
মাশরুম

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতার নজির গড়েছেন লক্ষ্মীপুরের মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রবাস জীবন শেষ করে বাড়ির আঙিনায় মাশরুমের খামার গড়ে Read more

কিন্তু এবার আলু বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র সাড়ে চার টাকা কেজি দরে।

ফলে প্রতি ২৫ শতক জমিতে তারা লোকসান গুনছেন গড়ে ১৬ হাজার টাকা করে।

এই হিসাবে চলতি মৌসুমে প্রায় ১০ কোটি টাকা গচ্ছা যাবে শুধু আগাম আলুতেই।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি অফিস জানায়, ওই অঞ্চলে এবার ১১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে।

সেই আলু চাষিরা আরও ২০ দিন আগ থেকেই তুলছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রামের রপ্তানীকারকরাও আলু সংগ্রহ শুরু করেছেন।

আলুতে লোকসান হবার রয়েছে বেশ কিছু কারণ

কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

তার মধ্যে আলু নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব, রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পনির্ভর জাত উদ্ভাবন না করা উল্লেখযোগ্য।

একই সাথে গুনগত মান পরীক্ষায় পর্যাপ্ত ল্যাব না থাকা, কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে রপ্তানি না হওয়ার জন্যই আলুর দাম কম।

অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ চাষিদের পরিকল্পনাহীনভাবে আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করছে।

রংপুর কৃষি বিপণন অফিস এবং কৃষি অফিসে এ অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আলুর চাহিদার কোন সঠিক হিসাব নেই।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের অতিরিক্ত উপপরিচালক মাহবুবার রহমান।

তিনি বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই অঞ্চলে ৯৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়।.

এতে তাদের ২ কোটি ২৬ লাখ ৪ হাজার ৫৯৬ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হয়েছে।

একই পরিমাণ জমিতে এ বছরও আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানায়, এবারও উৎপাদনে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

অপরদিকে কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায় এখনও বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে গত বছরের আলু আছে।

সেই সাথেই  নতুন আলু আসায় এর দাম কম।

সূত্র থেকে জানা যায়, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, রাশিয়ায় আলু রপ্তানি হলেও করোনার সময় তা সম্ভব হয়নি।

তবে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করার লক্ষ্যে রংপুরের আলু কেনা হচ্ছে।

0 comments on “মালয়েশিয়ায় আলুর রপ্তানি হলেও শংকায় আলু চাষিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ