মাছ প্রক্রিয়াজাতে ও সংরক্ষনে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্রির অপরাধ সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বিধান রেখে খসড়া আইন সংসদে উঠেছে।
আজ বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিল- ২০২০’ সংসদে উত্থাপন করেন।
সংসদ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে বলা হয়।
এ ছাড়া মৎস্য পণ্যে ভেজাল দিলে বা খামারে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করলে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা জরিমানার ব্যাপারে খসড়া আইনে বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়া আইনে মৎস্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মৎস্য, সাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কচ্ছপ, কুমির,কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজপ্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে’।
আইনটি অমান্য করলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক বা পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করতে পারবেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতাদের পণ্যের গুণগত ও প্রক্রিয়াগত মানসম্পর্কিত চাহিদা, রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বহুমুখীতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের বিস্তৃতি ও প্রতিযোগিতা ইত্যাদি মোকাবেলায় বিদ্যমান অধ্যাদেশের সীমবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়।”
এ ছাড়া নিরাপদ মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামারিদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধানও বিলে রাখা হয়েছে।
Ratan
July 8, 2020 at 7:40 pmক্যামিকেল মুক্ত মাছ পাওয়া যাবে আশা করি তাহলে ।
হায়দার আলী
July 8, 2020 at 5:42 pmএবার যদি চিংড়ি মাছ সোডিয়াম মেটা বাইসালফেট, পটাশিয়াম ট্রাই পলিফসফেটের এবং জেলির মত বিষয় থেকে মুক্তি পায়।